• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাফলংয়ে টুরিস্ট গাইড সাদ্দাম হত্যা মামলার মূল আসামী মামুন পলাতক

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২০
জাফলংয়ে টুরিস্ট গাইড সাদ্দাম হত্যা মামলার মূল আসামী মামুন পলাতক

যুগভেরী রিপোর্ট
জাফলং থেকে তরুণ টুরিস্ট গাইড সাদ্দামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূল আসামী কথিত ব্যাংকার মামুন এখনো পলাতক। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চারিদিকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সাদ্দাম খুনের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত দুই আসামীকে গতকাল ১৯ জুলাই মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার খরাদিপাড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে ফারদিন আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের ইজ্জাদ আলীর ছেলে রমিজ আলী। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পর জাফলং বন বিভাগের গ্রিন পার্ক এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেন (২৬) নামের ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের বাড়ি গোয়াইনঘাটের কালিনগর গ্রামে। তিনি জাফলং টুরিস্ট গাইড সমিতির সদস্য ও একজন ফটোগ্রাফার। তাঁকে ডেকে নিয়ে দুবৃর্ত্তরা ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে। তাঁর তলপেটে ছুরির ক্ষত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছোরাও উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরার সূত্র ধরে আমরা দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও মামলার মূল আসামী ছাতক উপজেলার বিশম্বরপুর গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে মামুন আহমদ, একই এলাকার মনছুর আলী মাসুমের ছেলে তানভির আহমদ, ইউসুফ আলীর ছেলে আফরোজ আলী পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চারিদিকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য সাদ্দাম খুনের ঘটনায় গত ১৬ জুলাই হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের খালাতো ভাই জাফলং টুরিস্ট গাইড ও স্টুডিও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন । ৫জনকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জাফলংয়ে পর্যটকদের যাতায়াত কম। পর্যটকদের গাইড দেওয়া কিংবা ছবি তোলার ব্যস্ততাও নেই। বুধবার সকালে নাশতা শেষে ক্যামেরা নিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার কথা বলে সাদ্দাম জাফলংয়ের সংগ্রামপুঞ্জি এলাকায় যান। সেখান থেকে দুপুরে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পর তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে গ্রিন পার্ক এলাকায় সাদ্দামের লাশ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন। খবর পোয়ে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সন্ধ্যার পর লাশ উদ্ধার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন