• ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জালালাবাদ থানার যুবলীগ নেতা শাকিল আহমদ কর্তৃক পাথর খনি থেকে পাথর লুটপাট : নিরীহ আবু বক্কর ও তার পরিবারের উপর হয়রানি ও নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
জালালাবাদ থানার যুবলীগ নেতা শাকিল আহমদ কর্তৃক পাথর খনি থেকে পাথর লুটপাট : নিরীহ আবু বক্কর ও তার পরিবারের উপর হয়রানি ও নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদন :::
সিলেট জেলাধীন জালালাবাদ থানার হাউসা গ্রামে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হয়রানির প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ সময় আবু বক্কর ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তার পিতা আব্দু সোবাহানের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাপগঞ্জে পাথর খনিতে ১ (এক) বিঘা জমি রয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ০১ (এক) কোটি টাকা।
২০১৪ সালে তাদের যৌথ পরিবার বিভক্ত হয়ে জমিজামা ও সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তার চাচাত ভাইদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত হলে গ্রাম সালিশের মাধ্যমে সম্পত্তি দুই ভাগ করে তার চাচাত ভাইয়ের মেনে নিতে পারেনি। তার সব কয়টি দোকান এবং ভোলাগঞ্জে ক্রাশার মিলের মালিকানা দাবী করে। তারা শুধুমাত্র ফসলী জমি দুইভাগে বিভক্ত করতে রাজী হয়। গ্রাম্য সালিশে সম্পত্তির বন্টন নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।
২০১৫ সালে আবু বক্করের পিতা একটি দোকানে কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলেন। ঐ সালে তার চাচাত ভাই রকিব ও রাশিদ ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের দোকানে হামলা চালায়। তারা তার পিতা ও তাকে জোরপূর্বক দোকান থেকে বের করে দেয়। এতে বাঁধা প্রদান করিলে আবু বক্কর ও তার পিতাকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে যুবলীগ নেতা রাশিদ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের জোরে তাদের সবকটি দোকান জবর দখল করে নেয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, সরকারী দলের নেতা হওয়ায় জাল নথির মাধ্যমে সম্পত্তিগুলো তাদের নামে নামকরণ করে নেয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে বিবাদকৃত সম্পত্তির উপর আবু বক্করের পিতা বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তাদের আবেদন আমলে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত বিবাদকৃত সবকটি দোকান সিলগালা করে দেয়। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আবু বক্কর ও তার পরিবারের ক্ষতি করতে লাগে।
আবু বক্কর আরো অভিযোগ করেন, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে যার কারণ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। আবু বক্করকে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে অস্ত্র মামলায় তার বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করায়। অস্ত্র বহনের অভিযোগ পুলিশ তাকে গ্রেফতারে করে থানায় অকথ্য নির্যাতন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে তার চাচাত বোনের জামাই শাকিল দলীয় ক্যডারদের নিয়ে তার পাথর কোয়ারীতে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়ে সকল পাথর ট্রাকে করে লুটপাট করে নিয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী পুরো উপজেলার মানুষ। সন্ত্রাসী শাকিল উক্ত জমিকে সরকারী জমি হিসেবে জমির লিজ এনেছে বলে হুশিয়ারী প্রদান করে। কিন্তু ভয়ে সাহস করে কেউ কোন কথা বলতে পারেনি।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট প্রেস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু বক্কর। এ সময় তার আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আবু বক্কর অভিযোগ করেন, আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত চলমান মামলায় তার পক্ষে রায় এবং সরকার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় যুবলীগের নেতারা তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে যার কারণে তিনি জেলও খেটেছেন। এ অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তাসহ মামলার তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার দাবি করেন নিরীহ ভুক্তভোগী আবু বক্কর ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন