• ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক এমপি ও নেতাকর্মীদের প্রবাসির বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ : পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী আবুল কালাম

Daily Jugabheri
প্রকাশিত অক্টোবর ৩১, ২০২০
সাবেক এমপি ও নেতাকর্মীদের প্রবাসির বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ : পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী আবুল কালাম

উপরে বাঁ থেকে আফিয়া বেগম ও আবুল কালাম। নিচে বাঁ থেকে আবু সুফিয়ান ও আবু সালেহ।


নিজস্ব সংবাদদাতা, বিশ্বনাথ :::
বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।  আজ (৩১ অক্টোবর) শনিবার বিশ্বনাথ উপজেলার টুকেরকান্দি গ্রামের মোঃ আবুল কালাম একজন স্থানীয় বাসিন্দা এমন অভিযোগ তুলেন।  তিনি বলেন, গতকাল আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে বিশ্বনাথ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি’র গ্রুপ বিশ্বনাথ উপজেলার সাবেক যুবলীগকর্মী মাহবুবুর রহমান (লিলু) ও বর্তমান যুবলীগের ১০/১২ জন কর্মি নিয়ে আমার বাড়িতে হাজির হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি তিনশত টাকার স্টাম্প আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে সেখানে স্বাক্ষর করতে। এসময় আমি তাদের প্রশ্ন করি, এখানে কি লেখা আছে? জবাবে তারা আমাকে বলে যে, ‘এখানে লেখা থাকবে যে তুমি তোমার বসতবাড়ি স্বজ্ঞানে তোমার ছোট ভাই আবুল খয়েরকে বিক্রি করে দিয়েছো’। আমি তাদের হাতে থাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে না চাইলে তারা এসময় আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা, অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। হামলার এক পর্যায়ে আমার জমজ দুই ছেলে মোঃ আবু সুফিয়ান (১৭), আবু সালেহ (১৭), আমার স্ত্রী আফিয়া বেগম (৪৮)কে শরিরের বিভিন্ন স্থানে দেশিও অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।  হামলাকারীরা দেশিও অস্ত্র দিয়ে আমার ডান হাতে কুপ এবং কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা হামলা থামিয়ে দেয় এবং বলে যে, আজ এ পর্যন্ত আগামী সপ্তাহে আমরা আবারও আসবো যদি প্রাণে বাঁচতে চাও স্টাম্পে স্বাক্ষর ছাড়া তোমাদের আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই। মোঃ আবুল কালাম আরও বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও বাড়িঘর ভাংচুর করে।   এসময় স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপরও হামলা, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেন, ঘটনাস্থলে বিশ্বনাথ থানার পুলিশের একটি দল উপস্থিত থাকলেও তাদের কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনার পর থানা অভিযোগ দায়ের করার জন্য যাওয়া হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ নিতে অস্বিকৃত জানান। থানায় অভিযোগ দিতে না পেরে উপায়ন্ত না পেয়ে আদালতে গেলে সেখানও কোন সহযোগিতা পাননি আবুল কালাম। বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবাসি ভুক্তভোগির পিতা মোঃ আবুল কালাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন