![](https://dailyjugabheri.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলার সোহান ইসলাম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সামছুদ্দিন মাছুম এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার রায়ে ৬ জনকে দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০,০০০/-টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরোও ২ দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সবাই কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা। তারা হলেন- নগরীর কুয়ারপাড় ইঙ্গুলাল রোডের মৃত মহরম আলীর পুত্র শাকিল, কুয়ারপারের মনির মিয়ার পুত্র আমীর, নয়াপাড়ার মৃত আশদ আলীর পুত্র জামাল আহমদ, খুলিয়াটুলার গুলজার মিয়ার পুত্র সাকিব, খুলিয়াটুলার মৃত মশদ আলীর পুত্র কামরুল হাসান এবং বিলপাড়ের হোসেন আহমদ প্রকাশ মালন মিয়ার পুত্র মাহবুব রহমান প্রকাশ মারুফ।
অভিযুক্ত বাকী ৫ জনকে দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/১০৯ ধারায় প্রত্যেককে ১০ বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫,০০০/-টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরোও ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। তারা হলেন, নগরীর খুলিয়াটুলার মৃত মখা মিয়ার পুত্র রিপন, ইঙ্গুলাল রোডের মির্জা আলী হাসানের পুত্র জামাল ওরফে টাইগার জামাল, খুলিয়াটুলার মৃত লাল মিয়ার পুত্র মোঃ নুরুজ্জামান, শেখঘাট কলাপাড়ার গোপাল দাসের পুত্র বিশ্ববিজৎ দাস ওরফে মিঠুন আহমদ এবং জকিগঞ্জের ডেমরা গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র তোফায়েল ওরফে ইয়াবা তোফায়েল।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি নগরীর খুলিয়াটুলার তাজুল ইসলামের পুত্র সোহান ইসলাম তার ছোট বোন স্বর্ণাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে জিন্দাবাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে লামাবাজার পুলিশ ফাড়ি ও মেরিস্টোপ ক্লিনিকের মাঝামাঝি জায়গায় মেইনরোডে আসামাত্র আসামীগণ তার গতিরোধ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আসামীগণ সোহান ইসলামকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ২৮/০১/২০১৪ ইং তারিখে সোহান ইসলামের মা শাহানা বেগম সানু বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কোতায়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসলে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামীদের জবানবন্দি, দীর্ঘ শুনানী ও বাদী-বিবাদী পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল ১০ নভেম্বর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সামছুদ্দিন মাছুম মামলার রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি পৃথিশ দত্ত পিংকু ও আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।