• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিটি মেয়রের সাথে সিলেটের সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২০
সিটি মেয়রের সাথে সিলেটের সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

শহিদমিনারের অসমাপ্ত কাজ ও শারদাহল খুলে দেয়ার দাবি
বিজয় দিবসের পূর্বে সাংস্কৃতিকর্মীদের দাবি পূরণ হবে : আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেটের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের পূর্ণাঙ্গ রূপদান এবং ঐতিহ্যবাহী শারদা স্মৃতি ভবন (শারদাহল) সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অচিরেই খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বুধবার দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে নেতৃবৃন্দ দাবি দুটি দ্রুত বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে সৌন্দর্য বর্ধনের অসমাপ্ত কাজ ও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা পীর হাবিবুর রহমান পাঠাগার স্বস্থানে পুণরায় চালু করার অনুরোধ জানান। তারা বলেন, শারদাহল দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় বহু সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাক্ষী। শারদাহলকে কেন্দ্র করে সুরমা নদীর পাড়ে একটি সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক চর্চার পথকে সুগম করতে হবে। নেতৃবৃন্দ অচিরেই সংস্কারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শারদাহল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের দাবি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের পূর্বেই শহিদমিনার ও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের চলমান কর্মকান্ড সিটি কর্পোরেশন সম্পন্ন করবে। তিনি আরও বলেন, শারদাহলে সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক সবকিছু খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হবে, শারদাহল আবারও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্রে হয়ে উঠবে। মেয়র সিলেটের সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের কথা উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়রের সাথে সাক্ষাৎকালে সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি হিমাংশু বিশ্বাস, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি বাচিকশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, সিলেট বিভাগের সভাপতি রানা কুমার সিন্হা, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, সিলেট বিভাগের আহ্বায়ক শামসুল আলম সেলিম, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের বিভাষ শ্যাম যাদন, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রতীক এন্দ টনি, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সহ-সভাপতি উজ্জল দাস, সাধারন সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।

সংবাদটি শেয়ার করুন