যুগভেরী ডেস্ক ::::
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট এবং অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতেই এ নাশকতা বলে পুলিশের দাবি।
অন্যদিকে বাসে আগুনের ঘটনায় সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোট চুরি আড়াল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশের মানুষ ভালোভাবেই জানে অতীতে কারা এভাবে বাস পুড়িয়েছে, কিভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে বাসের মধ্েয যাত্রী বেশে উঠে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে, গতকাল যে কটি বাস পোড়ানো হয়েছে সেগুলোর সাথে ওই সময়ের মিল আছে।
“গতকাল প্রথম বাসটি পোড়ানো নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। এক সরকারির প্রতিষ্ঠানের বাস। এটি দিয়ে তারা শুরু করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি এবং তার দোসররা যে জড়িত এটি সহজেই অনুমেয়।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলাম দেশের এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য একটি মহলের অপতৎপরতা রয়েছে। সেজন্য আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আমরা তথ্য বিবরনীতে প্রচার করেছিলাম। কালকে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পেলাম।
“প্রকৃতপক্ষে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং অতন্ত দক্ষতার সাথে করোনা মোকাবিলা করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব, যা সবখানে প্রশংসিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গতকাল বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।”
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির রিপোর্টের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে টিআইবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহল থেকে উস্কানিমুলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং গতকাল বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।”
যে কোনো ধরনের নাশকতা সরকার কঠোর হাতে দমন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ জানাব মির্জ ফখরুল সাহেব শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন, এতে কোনো লাভ হবে না। সরকার অতীতে যেমন নাশকতা কঠোর হাতে দমন করেছে এবারও জনগণেকে সাথে নিয়ে কঠোর হাতে দমন করতে বদ্ধ পরিকর।
“জনগণকে আহ্বান জানাব এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য এবং সন্দেহজনক কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনুন।”