• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নগরীতে মশার বংশ বিস্তার রোধে ‘জিরো মজ’ স্থাপন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২০
নগরীতে মশার বংশ বিস্তার রোধে ‘জিরো মজ’ স্থাপন

যুগভেরী ডেস্ক ::: পরিক্ষামূলকভাবে নগরীতে মশার বংশ বিস্তার রোধে জাপানী প্রযুক্তির ওষুধ ‘জিরো মজ’ ছিটানো ও স্থাপন করা হয়েছে। নগরবাসীকে স্থায়ী ভাবে মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি দিতে ‘জিরো মজ’ (Zero Moz) নামের বিশেষ ধরণের এই ওষুধ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জাপানের ‘কানসাই একশন কোম্পানি’ কর্তৃক নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তেররতন এলাকায় একটি ড্রেনে মশার বংশ বৃদ্ধি রোধক ওষুধ ‘জিরো মজ’ স্প্রে ও স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিসিক মেয়র বলেন, মশক নিধন কিংবা মশার বংশ বৃদ্ধি রোধে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাসাবাড়ির পাশে ছড়া, খাল বা ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা ড্রেন, খাল বা ছড়ায় না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।

মেয়র বলেন, পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করা গেলে মশার উপদ্রব থেকে নগরীকে মুক্ত করা যাবে।

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলমান কার্যক্রমে মশা নিধনে ওষুধ স্প্রে ও ফগার মেশিন দ্বারা ওষুধ ছিটানো দেয়া হয়। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ‘জিরো মজ’ ব্যবহারে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি উৎস থেকেই লার্ভা ও পিউপা ধ্বংস করে। ফলে মশার বংশ বৃদ্ধি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

জাপানের কানসাই একশন কোম্পানির প্রতিনিধি অনুপ সামাদ্দার জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনে পরিক্ষামূলকভাবে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলাফল পেতে সময় লাগবে ২৪ দিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, সংরক্ষিত-৮ এর কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকী, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কানসাই একশন কোম্পানির পরিচালক এবং প্রধান অপারেটিং অফিসার সিনিয়া নিশিমোরা প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন