যুগভেরী ডেস্ক ::: জামালপুরের বকশীগঞ্জে তিন সন্তানসহ গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০১ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সলিইমণ্ডলপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ের মোর্শেদার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী বিনোদরচর গ্রামের তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে নান্ডা মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। তাদের একটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে।
এর আগে যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে দুইবার তালাকও দেন নান্ডা মিয়া। পরে স্থানীয়দের পারামর্শে আপস মীমাংসা হয়ে স্ত্রীকে ফেরত আনেন। সর্বশেষ মাস ছয়েক আগে তৃতীয়বারের মত তালাক দিলে স্ত্রী মোর্শেদা বেগম বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বাধায় নিজ বাড়ি থেকে চলে যান নান্ডা। ফলে দূর থেকে বসে স্ত্রীকে হত্যার ছক কষতে থাকেন তিনি।
সোমবার দিন গত রাত ২টার দিকে বাড়িতে থাকা ছোট বোনের স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করার উদ্দেশে ঘরের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আগুনের তাপে তারা ঘুম থেকে জেগে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ভুক্তভোগী মোর্শেদা বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে গেলে রাতে হঠাৎ আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায়। সন্তানসহ দ্রুত ঘরে থেকে বেড়িয়ে আসেন। ননদের স্বামী মোহাম্মদ আলীই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এর আগেও মোর্শেদা বেগম হুমকির কথা জানিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন। আজকের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান ওসি।