• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে ফিরে গেলেন কুনু মিয়া

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ২০, ২০২০
শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে ফিরে গেলেন কুনু মিয়া

এক সময়ের সিলেটের জাতীয় পার্টির শিকড় ছিলেন আলহাজ্ব কুনু মিয়া। দীর্ঘ সময় হুসেন মোহাম্মদ এরশাদের ঘনিষ্ট সময় সাথে থেকে জাতীয় পার্টিতে সিলেটে জুড়ে চুসে বেড়িয়ে ছিলেন আলহাজ্ব কুনু মিয়া । সিলেট – ৬ ( গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছিলেন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে। গোঠা সিলেটে ছিল জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। কিন্তু দলীয় কিছু নতুন বসন্তের কোকিল প্রবাসী নেতারা উড়ে এসে জুঁড়ে বসে জাতীয় পার্টির সিলেট নেতৃত্বে অসৎ ফায়দা হাসিলে দলীয় বিভিন্ন কোন্দল সৃষ্টি করে নেতৃত্বে ফাটল দেখা দিলে দূরদিনের কান্ডারী ত্যাগী নেতাকর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে দল বদল করতে বাধ্যহন। ২০১১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে কুনু মিয়া সহ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন বিএনপিতে। বিএনপিতে যোগদানের পর কুনু মিয়া দীর্ঘ দিন লন্ডনে অবস্থনের পর সিলেটে জেলার তৃনমূল জাতীয় পার্টির অবহেলীত বঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিশেষে অনুরোধ ও প্রচেষ্ঠায় বিএনপি থেকে ফিরিয়ে আসেন আলহাজ্ব কুনু মিয়াকে । ১৮ নভেম্বর ২০ইং অনুষ্ঠানিক ভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্তমান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাথে দেখা করে জাতীয় পার্টিতে যোগদেন। এ সময় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক বক্তব্যে বলেন- জাতীয় পার্টির শাসনামলে। দলীয়করণ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ছিল। না। দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল জণগণের কল্যাণে। বনানী কার্যালয়ে ১৮ নভেম্বর (বুধবার) সিলেট জেলার জাতীয় পার্টি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। সভার আগে জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন সিলেট জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ কুনু মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী হাসেন সরকার ও সুধীন্দ্র দাশ শুভ্রসহ বিভিন্ন দল ও ব্যবসায়ী শতাধিক নেতারা। প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এটিইউ তাজ রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হোসেন মঞ্জু ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক উসমান আলী চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, এরশাদ ছিলেন জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক। জেলখানায় বসেও নির্বাচন করেও দুইবার পাঁচটি করে আসনে জয় লাভ করেন। তিনি যে নিন্দিত ছিলেন না তার প্রমাণ মৃত্যুর পরে লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আরো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ড, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, এয়ার আহমেদ সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, হুমায়ন খান, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আহাদ চৌধুরী শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক নুরু, মাহমুদ আলম ও সমরেশ মন্ডল মানিক প্রমুখ।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন