যুগভেরী রিপোর্ট :::
হেমন্ত না ফুরাতেই আভাস দিতে শুরু করেছে শীত। পঞ্জিকার হিসেবে শীত নামতে এখনো একমাস দেরি। তবে সকালে কুয়াশার চাদর দেখলেই বুঝা যায় দিন গুনে শীত আসে না। শহরের বাইরেতো শীত রীতিমতো জেঁকে বসেছে বলা যায়। এই শীত কারো কাছে উপভোগ্য আবার কারো কাছে বিপদের। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুমাস হেমন্তকাল। এই সময়ে হিমেল হাওয়ার পরশ, সূর্যের মিষ্টি আলো আর নীল আকাশ মুগ্ধতা ছড়ানোর কথা। কিন্তু প্রকৃতিতে যেন এর ছিটেফোটাও নেই। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন।
তবে সিলেটে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও জেঁকে আসছে শীত। সেই সাথে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শনিবার (২১ নভেম্বর) তাপমাত্র প্রায় ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে থাকলেও আগামী রবিবার (২৩ নভেম্বর) তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে আসতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। সিলেটের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভবনা খুবই বেশী। বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে শীত আসার কথা থাকলেও এবার নভেম্বরের শেষের দিকে ঝেঁকে আসছে শীত। তাপমাত্রও কমতে শুরু করছে।
এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশের প্রভাবে হালকা বৃষ্টি কেটে রোদেলা আবহাওয়ার দেখা মিলবে শিগগির। তবে শুষ্ক আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়ার সঙ্গে মধ্যরাত থেকে কুয়াশার দাপট বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, “আজও চট্টগ্রামসহ কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। রোববার থেকে রোদেলা আবহাওয়াও থাকবে। সোমবার থেকে টানা কয়েকদিন শীতের অনুভূতি বাড়বে। কারণ এ সময়ে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।”
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশালের কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এসময় ঢাকায় তিন মিলিমিটার ও ফরিদপুরে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রাম ও যশোরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুঁলিয়ায় ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যান্য স্থানের হাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নভেম্বর মাসের শেষদিকে শীতালু ভাব বিরাজ করে। উত্তুরে হাওয়া না বইলেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। হেমন্তে সন্ধ্যা-রাত ও ভোরে কুয়াশা থাকা বা হালকা বৃষ্টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঝিরঝিরে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে; আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস রয়েছে।