• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে ‘রবিউল’ হত্যার দায়ে মাঠে নষ্ট হচ্ছে প্রধান আসামির পাঁকা ধান!

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
বিশ্বনাথে ‘রবিউল’ হত্যার দায়ে মাঠে নষ্ট হচ্ছে প্রধান আসামির পাঁকা ধান!

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :::
সিলেটের বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্র শিশু রবিউল ইসলাম (১২) হত্যা মামলার প্রধান আসামির পাঁকা ধান নষ্ট হচ্ছে মাঠে। শিশু রবিউল ইসলাম নওধার রহমান নগর গ্রামের দিনমজুর আকবর আলীর পুত্র। গত ১৩ অক্টোবর বৈরাগীবাজার- সিঙ্গেরকাছ সড়কের পাশে বাল্লা বিলের একটি ডুবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই হত্যা কান্ডের পর থেকে মামলার প্রধান আসামি দৌলতপুর ইউনিয়নের খড়পাড়া গ্রামের আব্দুল জহিরের পুত্র ছাদিকুর রহমান (৩৫) পলাতক রয়েছেন। আর ১৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় আসামি একই গ্রামের মৃত আশোক আলীর পুত্র আব্দুল কাদির (৪৭) আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
ছাদিকুর রহমান’কে ধরতে থানা পুলিশ নানা কৌশলও অবলম্বন করছে। তাতে বার বার ব্যার্থ হচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন প্রধান আসামির বাড়ির অন্য পুরুষরাও। এতে ওই বাড়ির ৭টি পরিবারের মহিলারা ছোট ছোট শিশুদেরকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে ছাদিকুর রহমানের বাড়ির লোকজনেরও দাবি হচ্ছে সে অপরাধি হলে তার শাস্তি হোক।
কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুলিশ ও বাদির বাঁধার কারণে মাঠে থাকা তাদের প্রায় ১হাজার শত জমির পাঁকা আমন ধান কাটতে পারছেন না। আসামি ছাদিকুর রহমান’সহ তার ৭টি পরিবারের ধান কাটতে না পারায় জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে জমির পাঁকা ধান কাটাতে মাঠে নামান তিনজন শ্রমিক। কিন্তু ওইদিন তিনজন শ্রমিককে ধানি জমি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। বর্তমানে তারা কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। এর পর থেকে ওই জমিতে ধান কাটতে আর কোন শ্রমিক নামাননি আসামি পক্ষের লোকজন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদি শিশু রবিউল ইসলামের পিতা আকবর আলী বলেন- আসামি ধরা না দিলে তিনি ধান কাটতে দেবেন না।
জানতে চাইলে থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, গত দিনে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকায় তিনজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ধানতো নষ্ঠ হতে দেয়া যায়না, এজন্য দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী ও রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যডভোকেট আলমগীর’কে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানাযায়, পাঁকা ধান মাঠে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গরু-ছাগলেও খাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন