সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের ঝালোপাড়া, ভার্থখলাসহ আশপাশ এলাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি যখন সাধারণ মানুষের ঘরে প্রবেশ করে, তখন চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এ দুটি পাড়াসহ অন্যান্য স্থানের মানুষের।
ঝালোপাড়া, ভার্থখলাসহ আশপাশ এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র ড্রেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের বাইপাস সড়কের সাথে মিলিত। ড্রেনটি ছোট থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিলো বিদ্যমান।
সর্বশেষ কদমতলীর বাসিন্দা প্রয়াত হাজী ফজল মিয়া ও প্রয়াত হাজী বারী মিয়ার সন্তানরা তাদের পিতার নামীয় প্রায় ১১ শতক ভুমি, যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। স্বেচ্ছায় ঐ ভুমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের জন্য দিয়ে দেন।
প্রয়াত দুই ভাইয়ের সন্তানদের এ মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র (১) ও ২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন।
তৌফিক বকস্ লিপন বলেন, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ সমস্যার সমাধানে অনেকেই ১ ফুট ভুমি দানে যেখানে কার্পণ্য করেন, সেখানে কোটি টাকার ভুমি দান করা অনন্য উদাহরণ। তিনি প্রয়াত হাজী ফজল মিয়া ও প্রয়াত হাজী বারী মিয়ার রূহের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি হাজী ফজল মিয়ার ও প্রয়াত হাজী বারী মিয়ার পরিবারের সবার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, ড্রেনের কাজ সমাপ্ত হলে ঝালোপাড়া, ভার্থখলাসহ আশপাশ এলাকার পানি সরাসরি পিরিজপুর হাওরে গিয়ে পড়বে। তখন আর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।