• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

কমলগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটি জুড়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ছে তারের জটলা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
কমলগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটি জুড়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ছে তারের জটলা

যুগভেরী ডেস্ক :::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন শহর ও বাজারে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিজুড়ে ঝুকি নিয়ে ডিশ, ইন্টারনেট ও জেনারেটরের তারে ভরপুর হয়ে উঠছে। বিদ্যুতের খুঁটিজুড়ে অন্যান্য তারের জটলায় ভারি হচ্ছে বিদ্যুতের খুটি। তাইর বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অপরিকল্পিতভাবে তারের কারণে শর্টসার্কিটের সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়। আর এ বিষয়ে নীতিমালা না থাকায় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না বিদ্যুৎ-সেবা নিশ্চিতকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি খুঁটিই বিদ্যুতের তারের চাইতে অন্যান্য তারের জটলা বেশি। এই তারগুলোর বড় অংশ ডিশ লাইন, জেনারেটর ও ইন্টারনেট লাইনের। কোন তার কিভাবে পেঁচানো তা বোঝারও উপায় নেই। কোনো কোনো খুঁটিতে বর্ধিত তারগুলোর গোল করে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এই তারগুলোর থেকে মাঝে-মধ্যেই শর্টসার্কিট হয়ে থাকে। অনেক সময় ট্রান্সফরমারের সঙ্গে লেগে ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফিউজ কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রাংশ তেমনি দূর্ভোগ ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহক এবং পথচারীরা। ডিশ লাইনের রেগুলেটার দেওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ। ঘাটতি হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুন্সিবাজার ,শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রায় সময় বিভিন্ন লাইনের ছেঁড়া তার ঝুলে থাকে বোঝার উপায় থাকে না সেটা বিদ্যুতের, ডিশের না জেনারেটরের।

শমশেরনগর পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ লাইনম্যন মো কামাল হোসেন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে অন্য সার্ভিস প্রোপাইটারদের বিভিন্ন ক্যাবল থাকায় পোলে উঠতে যেমন সমস্যা হয়ে থাকে তেমনই সংযোগ মেরামতসহ বিভিন্ন কাজে ও বিঘœ ঘটে। শুধু তাই নয় ডিশ লাইনের রুকবক্সে নরমাল তার দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় লাইনের কাজ করতে গিয়ে খেতে হয় সট।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক বলেন, বিদ্যুতের লাইন থেকে তার সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত আমরা অবৈধ ১৩ টি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন