গোয়াইনঘাট উপজেলা ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়ন বিন্নাকান্দি গ্রামের হাওর রক্ষায় প্রতিবাদ করায় ৩ কৃষককে মারপিট করা হয়েছে। আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এ ঘটনায় ইউসুফ আলী (৩৫) বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২/৬৩ তারিখ ১ মার্চ ২০২১। মামলা সুত্রে জানা যায়, বিন্নাকান্দি হাওর বেদখল অবস্থায় খরিদ করে একটি ভূমিখেকু চক্র হাওরটি দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিন্নাকান্দি গ্রামের কৃষকেরা যেকোন মূল্যে হাওরটি রক্ষায় করতে চায়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক করে সমাধান হয়নি। বিন্নাকান্দি হাওর রক্ষায় গ্রামবাসীর পক্ষে বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে জমির উদ্দিন (৬৫) বাদী হয়ে মাননীয় বিজ্ঞ আদালত সত্ব মোকদ্দমা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং- ১৭৯৫/২০২০। মামলাটি বিচারাধীন। যেকোন মূল্যে হাওরটি দখলে নিতে চায় ভূমিখেকো চক্র। সরকারি ব্যায়ে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় একটি সুইচ গেইট নির্মান করা হয়। হাওরটি ভূমিখেকোদের দখলে চলে গেলে সুইচ গেটটি মুল্যহীন হয়ে পড়বে। শত শত কৃষক পরিবার অনাহারে মরতে হবে। হাওরের বিষয়টি মিমাংশায় ১৭ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টায় বিন্নাকান্দি গ্রামবাসীর সাথে স্থানীয়ভাবে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফলাফল অনুকূলে না আসায় পরিকল্পিতভাবে হাওর রক্ষায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এবং প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। সালিশ বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে আলী আহমদ ও জাকারিয়া গংরের নির্দেশে দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তিনজনকে গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন, বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত ইছাই মিয়র ছেলে ইউসুফ আলী (৩৫), মৃত মতছির আলীর ছেলে আয়াত উল্লাহ (৬৫), কামরুল ইসলাম (৩০)।
এ ব্যাপারে গোয়াইঘাট থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞানামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়। আসমাীরা হলেন, মৃত মতছির পুত্র ওলি আহমদ (৪০), মৃত ইছা মিয়ার ছেলে কলিম উদ্দিন (৬৫), বুরহান উদ্দিন (৩৫), শামীম আহমদ (৩০) আলীম উদ্দিন (২৭), জাকারিয়া (৫০), মকবুল হোসেন (৫৫)।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার আব্দুল আহাদ মামলার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।