বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিবেদন
যুগভেরী ডেস্ক :::
খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের ৪৫ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় রয়েছে এশিয়ার আরো ৮ দেশ। সার্কের মধ্যে বাংলাদেশের পর একমাত্র পাকিস্তান রয়েছে এই তালিকায়। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গ্লোবাল ইনফরমেশন অ্যান্ড আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম কার্যক্রমের আওতায় এফএও এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
খাদ্য সংকট আছে এবং বর্হিবিশ্বের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে এরকম দেশের তালিকা প্রণয়নের সময় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বিবেচনায় নিয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ধরনের স্থানীয় পর্যায়ের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটকে।
এফএও বলেছে, এই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ ওইসব দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে খাদ্য আমদানি অথবা খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করতে হয়। সংস্থাটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, করোনার নেতিবাচক প্রভাবের সঙ্গে বন্যা এবং প্রধান খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি খাদ্য নিরাপত্তার সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছে। করোনার প্রভাব ও বন্যায় শস্য বিনষ্ট হওয়া এবং খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২১-এর জানুয়ারিতে চালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১৯-এর জুনের তুলনায় ২০২০-এর জুন অর্থাৎ এক বছরে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ।
এফএও এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে খাদ্য পরিস্থিতির ওপর কোভিডের প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রায় নয় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
কোভিডের প্রভাব সম্পর্কে বলা হয়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও এই সময়ে দেশটিতে দারিদ্র্য বেড়েছে। খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বিশেষ করে চাল ও ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকা মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।