• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত মে ৭, ২০২১
সুনামগঞ্জে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::  সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকারকে মারধর, অবরুদ্ধ করে রাখা এবং পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে  শুক্রবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরে মানববন্ধন হয়েছে। শহরের আলফাত স্কয়ারে দুুপরে এই মানববন্ধন করে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিকাশ রঞ্জন সরকার এলাকায় একজন নিরিহ ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত। যারা তাঁর ওপর হামলা ও মারধর করেছে তারা এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি অমর চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রিটন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সেন্টু রঞ্জন কর, সংগঠনের সদস্য অরুন দাস, শঙ্কর বর্মন, রণধীর সরকার, দিরাই উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন সুত্রধর ও সাধারণ সম্পাদক মিঠু দে প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-১ আসনের (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বড় ভাইকে না জানিয়ে জমি বিক্রি করায় গত সোমবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি নতুন বাজারে বিকাশ রঞ্জন সরকারকে (৫৫) মারধর করেন এমপি রতনের ভাই মোশারফ হোসেন মাসুদ (৫৮) ও মাসুুদের ছেলে তানভীর হোসেন ওরফে সাগর (২৪)। মারধরের পর তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। মোশারফ হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। বিকাশ রঞ্জন সরকারের বাড়ি পাইকুরাটি গ্রামে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধরমপাশা উপজেলা সদরে বসবাস করছেন। বতর্মানে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ ঘটনায় বিকাশ রঞ্জন সরকার মঙ্গলবার রাতে ধর্মপাশা থানায় এমপি রতনের ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ইদেকে বুুধবার রাতে এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু দে পলাশ (৩২) নামের এক ব্যক্তি থানায় বিকাশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাক্ষীও রাখা হয়েছে এমপির ঘনিষ্ঠ লোকদের।
মামলায় পিন্টু দে অভিযোগ করেন, বিকাশ চার মাস আগে পাইকুরাটি নতুন বাজারে চার শতক জমি ১০ লাখ টাকায় বিক্রির দাম ধরে জন্য তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা বায়না নিয়েছিলেন। একমাস পর বাকি টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। ২ মে বাজারে বিকাশকে পেয়ে পিন্টু জমি দলিল করে দেওয়ার কথা বললে তিনি দলিল করে দিতে অস্বীকার করেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকার বলেন,‘আমি পিন্টুর কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি বা তাকে হুমকিও দিইনি। আমাকের মারধর, আটকে রাখা ও প্রাণ নাশের হুমকির চেষ্টায় এমপির বড় ভাই ও ভাতিজাকে আসামি করে থানায় যে মামলাটি আমি করেছি, সেটির কাউন্টার হিসেবে এমপির ঘনিষ্ঠজনকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে।’ এমপি ভাই মোশারফ হোসেনও তাদের বিরুদ্ধে আনা বিকাশের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন