সচিবালয়ে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা হেনস্তার পর দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় সোপর্দ, মামলা দায়ের, সারারাত থানায় রাখা, আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন, জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ, সিলেট।সেই সঙ্গে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এ কলঙ্কজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এ সংগঠন।
এক বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ সিলেট’র সভাপতি ও দৈনিক সবুজ সিলেট’র সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক শ্যামল সিলেট’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল মুকিত উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ সিলেট’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের আওতায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ যুগে এ সময়ে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের করা আইনে মামলা দায়ের সংশ্লিষ্টদের সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নেতিবাচক মনোভাব ও অশুভ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টার পাশাপাশি আগামী দিনের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের জন্য হুমকি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের হীনচেষ্টা সংবাদপত্রের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয় ও পেশাকে চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যায়।
তারা বলেন, এ নজিরবিহীন ঘটনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা, তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়, এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন আইনে একজন সাংবাদিককে এভাবে আটকে রাখা হলো? নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তা বের করতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।
বিবৃতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি