নিজস্ব সংবাদদাতা, ছাতক :::
সুনামগঞ্জের ছাতকে চাচাতো ভাইয়ের হামলায় গুরুতর আহত মোস্তফা আনোয়ার এনাম (৪০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত মোস্তফা আনোয়ার এনাম পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। আর হামলাকারী তার চাচাতো ভাই দবির মিয়া মৃত নূর মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ইফতারের পূর্বমূহুর্তে তার উপর হামলা চালায় চাচাতো ভাই দবির ও তার স্ত্রীসহ লোকজন। হামলার পরপরই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে আবারো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক পৌরসভার কাউন্সিলর লিয়াকত আলী।
এদিকে মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজ জানান, তার ব্যবসায়ী ভাই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম সিলেটে থাকেন। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের পূর্বে ইফতারি ও বাজার নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন। ঘরের পাশে আসলে চাচাতো ভাই দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম তার উপর নোংরা পানি ফেলে দেয়। এ নিয়ে দবির ও দবিরের স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এনামের। এ সময় দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগমসহ তাদের সহযোগীরা দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপিয়ে আহত করে হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
হামলার পর মোস্তফা আনোয়ার এনামের অপর ভাই মোস্তফা জুবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় মৃত নূর মিয়ার পুত্র রকিব মিয়া ও কবির মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্যান্য আসামি দবির মিয়া, তার স্ত্রী লাভলী বেগম, শিহাব মিয়া, মিশু, শরীফ, জমির মোল্লা, শিউলি পলাতক রয়েছে।