যুগভেরী ডেস্ক ::: রামাদান ফ্যামিলি কমিটমেন্ট সংক্ষেপে আরএফসির মাধ্যমে চলতি বছর সংগৃহিত অর্থ চ্যানেল এসের চ্যারিটি পার্টনার সংগঠনগুলোকে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার চ্যানেল এস স্টুডিওতে চ্যারিটি পার্টনারগুলোর হাতে আরএফসির চেক হস্তান্তর ও কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই এবং ওয়াক উইথ দবির চাচা প্রজক্টে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে সম্মাননা জানানো হয়।
২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে চ্যানেল এসের রামাদান ফ্যামিলি কমিটমেন্ট সংক্ষেপে আরএফসি। আরএফসিতে একটি দানের মাধ্যমে রামাদানে যেসব সংগঠন চ্যানেল এসে ফান্ড রেইজিং করে সেই সব সংগঠনগুলোকে সমানভাবে দান করতে পারেন দানশীলরা।
আরএফসির জন্যে গত বছরের মতো এবারো ফান্ড রেইজ করেন ১০১ বছর বয়সী দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই। ওয়াক উইথ দবির চাচা প্রজেক্টের মাধ্যমে এবার ফান্ড রেইজ করেন তিনি। আরএফসির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই এবং যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানান আরএফসির এডভাইসারি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ জিয়াউল হক এবং চ্যানেল এসের হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খান।
ফারহান মাসুদ খান জানালেন, ১০১ বছর বয়সী কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রেরণায় উৎসাহিত হয়ে এবার বিশ্বের প্রায় ৩শটি শহরে দানশীল ব্যক্তিরা দবির চাচার সঙ্গে হেঁটেছেন। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ, হয়তো দবির চাচার চাইতেও বেশি বয়সী ব্যক্তি হেঁচে আরএফসির জন্যে ফান্ড রেইজ করেছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এছাড়া আরো যারা আরএফসির এম্পেসেডর হিসেবে এবং দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ওয়াক উইথ দবির চাচা ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে ফান্ড রেইজ করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা অনুষ্ঠানে।
আরএফসির এডভাইসারি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আগামী বছর আরো চমকপ্রদ কর্মসূচী নিয়ে আসা হবে আরএফসির জন্যে।
এবার আরএফসির জন্যে ২শ ১১ হাজার ৪শ ৯৬ পাউন্ড ২৭ পেন্স সংগৃহিত হয়েছে। সংগৃহিত অর্থ চ্যানেল এসের ১৮টি চ্যারিটি পার্টনারকে ভাগ করে দেওয়া হয়। আরএফসির এই অর্থ এবার সিরিয়ায়ও যাবে বলে জানালেন চ্যানেল এসের ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল। তিনি বলেন, ধর্মীয় এবং মানবিক সংস্থাগুলোকে ফান্ড রেইজে সহযোগিতা করেই দায়িত্ব শেষ করে না চ্যানেল এস। দানের অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় এবং কিভাবে বন্টন করে এবং তা নিতান্তই অসহায়দের হাতে যাচ্ছে কি না তাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।
করোনা বিধি নিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে চ্যানেল এস স্টুডিওতে চ্যারিটি সংগঠনগুলোর হাতে আরএফসির চেক ও সনদ হস্তান্তর করা হয়। গত রামাদানের ২৬ রাতে ১৮টি প্রতিষ্ঠান ও চ্যারিটি সংস্থা ফান্ড রেইজ করে। এরমধ্যে ছিল ৫টি মসজিদ এবং ১৩টি মানবিক সাহায্য সংস্থা। আর গত এপ্রিল থেকে আরএফসির জন্যে শুরু ওয়াক উইথ দবির চাচা প্রজেক্ট। অনুষ্ঠানে চ্যানেল এসের পক্ষ থেকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ দবির চাচা’ শিরোনামে কবি দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে বিশাল একটি সনদ প্রদান করা হয়। এ সময় আরএফসির এম্বেসেডর এবং ওয়াক উইথ দবির চাচা প্রজেক্টের জন্যে যারা ফান্ড রেইজে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও চ্যানেল এসের পক্ষ থেকে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
চ্যানেল এসের হেড অব প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খান এবং সিনিয়র প্রেজেন্টার ইঞ্জিনিয়ার ক্বামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দৃঢ় আস্থা নিয়ে চ্যারিটিসহ অন্যান্য কাজে চ্যাানেল এসের পাশে থাকার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে চ্যানেল এস ইউকে এবং ইউরোপে বাঙালী কমিউনিটির জন্যে যে কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে তা শুধু বাঙালী কমিউনিটি নয়, ব্রিটিশ প্রশাসনও জানে। তিনি বলেন, চ্যানেল এস সর্বদা কমিউনিটির সাথে আছে এবং থাকবে একই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরে যাবে। আর এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করেন চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি।