• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বানিয়াচংয়ে কঠোর লকডাউনে থেমে নেই এনজিওদের কিস্তি আদায়

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জুলাই ২৮, ২০২১
বানিয়াচংয়ে কঠোর লকডাউনে থেমে নেই এনজিওদের কিস্তি আদায়

আবদুল হক মামুন, বানিয়াচং হবিগঞ্জ:::  বানিয়াচংয়ে কঠোর লকডাউনে থেমে নেই এনজিওদের কিস্তি আদায়।  দিশেহারা ঋণ গ্রহীতাগণ।  মানা হচ্ছে না সরকারী প্রজ্ঞাপন।
দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে বন্ধ আছে সরকারি বেসরকারি ও স্বায়িত্বশাসিত অফিস এবং শিল্প কলকারখানা  সহ সব প্রতিষ্ঠান। খোলা আছে তাদের এনজিও গুলোর অফিস।  দেশে থেমে নেই এনজিও গুলোর ঋণ আদায়,  প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাগাদা দিচ্ছেন এনজিও কর্মীরা। এতে চরম হতাশায় আছেন ঋণ গ্রহীতারা। একদিকে লকডাউন অন্য দিকে শ্রমজীবীদের আয় রোজগার নেই। কোন মতে দিনযাপন করছেন।   বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং টমটম ও মিশুক গাড়ী কিনে আয় রোজগার করে সংসার চালাচ্ছেন, এই মহামারি সময়ে ঘরের বাহিরে যাওয়া বারণ ও যানবাহন বের কলেই জেল জরিমানা ঘুনতে হয়। এই ভয়ে দোকানপাট ও টমটম ও মিশুক বের করতে সাহস পারছেন না তারা। তাদের আয়ের একমাত্র পথ হল এসব । দেশে কঠোর লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই এনজিওদের কিস্তি আদায়। এনজিও কর্মীদের তাগিদে দিশেহারা ঋণ গ্রহীতাগণ। তাদের কিস্তি সময় মত না দিতে পারায় চরম বিপাকে আছেন তারা, এসব কিস্তি সময় না দিলে পরবর্তীতে কিস্তির সুদ সহ আদায় করেন তারা, ভবিষ্যতে আর কোন ঋণ দিবেনা বলেও হুমকি দিচ্ছে এনজিও কর্মীরা। নাম না প্রকাশ করা বেশ কয়জন ঋণ গ্রহীতা সাংবাদিকদের জানান এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানো বড় কঠিন সেখানে আবার এনজিওদের সপ্তাহ না আসতেই কিস্তির বোঝা। তাদের দাবী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিস্তি দিবেন তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে  আগামী ৩০ আগস্টের আগে কিস্তির জন্য গ্রাহকদের কোন প্রকার চাপ দিতে পারবে না এনজিও গুলো। জোর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন প্রকার কিস্তি আদায় করা যাবে না বলে এই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ্য করা হয়। এ ব্যাপারে ব্র্যাকের কর্মকর্তা রনিকে কিস্তিতে আদায়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমাদের অফিস আজ থেকে খোলা কিস্তি আদায়ের তাদের নির্দেশশনা আছে, তবে গ্রাহকদের কোন প্রকার চাপ দিচ্ছেন না তারা। টিএমএসএসের রাসেল খান জানান, তারাও কোন প্রকার চাপ দিচ্ছেন না মাসিক কিস্তি আদায় করতে, যাদের সুবিধা আছে তাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করছেন কোন প্রকার চাপ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, জোর করে কোন প্রকার ঋণ আদায় করা যাবে স্বেচ্ছায় কিস্তি দিলেই আদায় করতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন