• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন মানুষ, পাড়া-মহল্লায় ভিড়

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জুলাই ২৯, ২০২১
সিলেটে নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন মানুষ, পাড়া-মহল্লায় ভিড়

যুগভেরী রিপোর্ট ::: 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের ৬ষ্ট দিন পার হচ্ছে বুধবার। লকডাউনের শুরুতে কয়েক দিন রাস্তাঘাটে জনসমাগম কম থাকলেও এখন বাড়তেই আছে যান ও জন চলাচল।
নগরের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ যানবাহন আটকালেও নানা অজুহাতে মানুষ বের হচ্ছেন ঘর থেকে। নগরের প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার ভেতরের রাস্তায় নিয়মিত আড্ডা দিতে দেখা গেছে লোকজনকে।
নগরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। তবুও সড়কে চলছে সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট গাড়ি।
ছোটখাটো প্রয়োজন, আবার কেউ কেউ প্রয়োজন ছাড়াই এসব গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। পুলিশ গাড়ি আটকালে তারা নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। কেউ বলছেন হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাবেন। আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর অজুহাতও দেখাচ্ছেন।
নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, অযথা মানুষ ঘুরাফেরা করছে। কেউ কেউ বন্ধ দোকানের সামনে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এদের অনেকের মুখে মাস্কও নেই।
নগরীর কাজল শাহ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গলির ভেতরে দোকানপাট খোলা। দোকানগুলোতে মানুষ অলস সময় পাড় করছে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে। আবার প্রধান সড়কেও অযথা মানুষ ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।
একই অবস্থাও দেখা গেছে লামাবাজার, রিকাবীবাজার, মুন্সিপাড়া, ভাতালিয়া, নোয়াপাড়া, বিলপার, মির্জাজাঙ্গালেও।
মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় গলির মোড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন মুন্না আহমদ নামের এক যুবক। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এরকম আড্ডা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লকডাউনে বাসায় বন্দি থাকতে থাকতে একগুয়েমি চলে এসেছে। তাই একটু স্বস্তির জন্য বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।’
নোয়াপাড়ার সাগর দাস বলেন, ‘আমার বোনের স্কুলের বেতন ব্যাংকে দেওয়ার জন্য বের হয়েছি।’
মোটরসাইকেল আরোহী সোহেল আহমদ বলেন, ঘরে বসে থাকতে আর ভালো লাগে না, বন্ধুকে সাথে নিয়ে একটু ঘুরবো।
নগরীর বিলপার এলাকার জাহেদ চৌধুরী জানান, বাসার জন্য নিত্যপ্রয়োজনিয় কিছু জিনিসপত্র কিনবো এর জন্য বের হতে হয়েছে।
পুলিশ সদস্যরা জানান, মানুষের চলাচল, যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও আমাদের চারদিকে চেকপোস্ট রয়েছে। অকারণে কারও বের হয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। বৈধ কোনো কাগজ কিংবা পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া বের হলেই আটক করছি। নিয়ম অমান্য করলে কোনো ছাড় নেই।
চৌহাট্টা পয়েন্টে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সকাল থেকেই আমরা সড়কে রয়েছি। যেসব গাড়ি জরুরি কারণ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছেন তাদেরকে আমরা জরিমানা বা মামলার আওতায় নিয়ে আসছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন