তোমার দেয়া নীল খাম আজও খোলা হয়নি, কেটে গেছে বাইশটা বসন্ত।
তিথি, সময়, তারিখ, প্রহর সব তোমার মুখস্থ- হঠাৎ বিরাট একটা কেক এনে চমকে দিলে- আজ নাকি জন্মদিন আমার!
সত্যিই–আজ জন্মদিন আমার। কত আয়োজন কত উল্লাস হই হুল্লোড় সত্যি দেখার মতো তোমার উন্মাদনা। জন্মদিন বলে যে আলাদা কোনো দিন হয় সেটাই জানা ছিল না। নীল খামটা খোলার সময় বোধহয় এটাই আহা কত যত্নে কত কিছু লেখা ভুলো না, ভুলে যেয়ো না।
আমার সমস্ত ভালোলাগার মুহূর্ত তোমায় দিলাম আরও নিয়ো সতেজ ঠোঁটের স্পর্শ, তোমাকে ছোঁয়ার আকুলতা কখনো কমবে না এখন অনেক রাত, চারদিক শুনশান নীরবতা নিশাচর পাখি আর রাতজাগা আমিই জেগে– আমার পুরোটা ভুবন তোমার অপেক্ষায়।
শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন।। আমার ঠোঁটে হাসি আর চোখে অশ্রুকণা- হাতে তোমার চিঠি আর মনে তোমার স্মৃতি। এখন আমার হাতে অখণ্ড অবসর – আমায় আর কেউ বিরক্ত করে না, খাওয়া ঘুম, এসব নিয়ে শুধু সিস্টাররা জ্বালায়। আমি হাসপাতালে, পরপারে যাওয়ার সিরিয়ালে।
তোমার চিঠির জবাব ঠিক দিয়ে যাব দেখো। আজকাল তোমার হয়তো এসব মনে পড়ে না– আর আমার সবকিছুই যেন বেশি বেশি মনে হয়। আজ বাদে কাল আবারও জন্মদিন আমার তুমি কি আসবে শেষবারের জন্য। জন্মদিন জন্মদিন করে পাগল হয়ে যেতে।
তোমার সে সময়ের অস্থিরতা দেখে, মুখ টিপে হাসতাম। তোমার নীল খামটা খুলেছি আমি– পুরোটাই পড়েছি। কি জবাব দেব বলো! কীই বা তুমি জানতে চাইবে। আমি জানি তুমি আসবে আর হাসবে আবারও নীল খাম দেবে আমাকে– আর বলবে শুভ জন্মদিন – জন্মদিন আয়ুষ্মান হোক।