কানাইঘাট প্রতিনিধি :::
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের বাদশাহ বাজারে গত ১০ আগস্ট রাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর বাউরভাগ ২য়খন্ড গ্রামের মুজম্মিল আলীর পুত্র এনাম উদ্দিন বাদী হয়ে সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মকবুল আলীর পুত্র হারুন রশিদ পক্ষের অনেকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা করলে পুলিশ ৫জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় হারুন রশিদের স্ত্রী মিনারা বেগম বাদী হয়ে গত ১২ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট আদালতে অপর পক্ষের এনাম উদ্দিন সহ ১৫ জনকে আসামী করে দরখাস্ত মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত দরখাস্ত মামলাটি এফআইআর হিসাবে গন্য করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএমকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে কানাইঘাট থানায় মামলাটি ১৬ আগস্ট জামিন অযোগ্য বিভিন্ন ধারায় রেকর্ড ভূক্ত হয়। মামলার বাদী মিনারা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তার স্বামী হারুন রশিদ প্রধান আসামী এনাম উদ্দিনের কাছে ৫৮ হাজার টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকা বিভিন্ন সময় এনাম উদ্দিনের কাছে তার স্বামী চাহিলে এনাম দিমু দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করে। গত ১০ আগষ্ট রাত অনুমান ১১টার দিকে বাদশা বাজারে এনামের দোকান ঘরের সামনে গিয়ে তার পাওনা টাকা চাহিলে এনাম উদ্দিন টাকা না দিয়ে তার স্বামীকে গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে এনাম উত্তেজিত হয়ে তার স্বামী হারুন রশিদকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে সুপারী কাঠের রুইল দিয়ে মাথায় আঘাত করে এতে হারুন রশিদ জখম হন। তার শোর চিৎকারে আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসলে সমুহ আসামীগন মাসুক আহমদ, শফিকুল হক, ইমরান আহমদ, আশিক আহমদ আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ এনাম উদ্দিনের দায়েরকৃত মামলায় তার স্বামী হারুন রশিদ সহ ৫জনকে গ্রেফতার করে বলে মামলার বাদী মিনারা বেগম মামলায় উল্লেখ করেছেন। ঘটনার পর সিলেটের কানাইঘাট আদালতে ১২ আগস্ট মিনারা বেগম বাদী হয়ে এনাম উদ্দিন সহ ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক মিনারা বেগমের দায়েরকৃত আদালতের দরখাস্ত মামলা রেকর্ড করার হয়েছে ও মামলার তদন্ত কাজ চলছে বলে জানান।