যুগভেরী ডেস্ক ::
মহামারীর মধ্যে দীর্ঘ সময় পিছিয়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ১৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি।
বিজ্ঞান বিভাগের নয় লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ২ শতাংশ হলেও এবার অনুপস্থিতের সংখ্যা গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি।
মহামারীর শুরুর ঠিক আগে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৯৩৭ জন। তার আগের কয়েক বছর সংখ্যাটি ছিল ১০ হাজারের নিচে।
অন্যান্য বার প্রথম দিনে বাংলা কিংবা ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হত বলে প্রথম দিনের অনুপস্থিতির সার্বিক চিত্র পাওয়া যেত।
তবে মহামারীর কারণে এবার শুধু নৈর্বচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় প্রথম দিন রোববার শুধু বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির চিত্র সোমবার পাওয়া যাবে। তা বিজ্ঞানের সঙ্গে যোগ হলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়ে যাবে।
অভূতপূর্ব এক পরিবেশ মাস্ক পরে স্যানিটাইজার হাতে মাখিয়ে রোববার কেন্দ্রে ঢুকেছিল বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেড় বছর পর এটাই প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষা।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং করিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই বিভাগে প্রথম দিনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ১২৯ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ লাখ ৮১ হাজার ৩০৯ জন।
সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে ৯ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৫ হাজার ৩৭৮ জন এবং নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের ৩ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯২৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়, অনুপস্থিত ছিল ৮৮৪ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে ৬০৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৯৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৪৬৩ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯৪ জন, বরিশালে ১৭২ জন, যশোরে ১৭১ জন এবং সিলেট বোর্ডে ১৪৮ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
প্রায় ১৯ হাজার পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ জানা যায়নি। তবে মহামারীর প্রভাবে নানা সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার শঙ্কা জানিয়ে আসছিলেন গবেষকরা।
প্রথম দিনে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বন করায় বহিষ্কৃত হয়েছে ৩১ জন শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ১৯ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ১০ জন এবং সাধারণের মধ্যে বরিশাল ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে দুজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
মহামারীর কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।