নিজস্ব সংবাদদাতা, গোয়াইনঘাট
গোয়াইনঘাট থানাধীন হাজিরাই গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে মুদির দোকানের ভেতরে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে শরীফ মিয়া (১৯) নামের এক যুবককে ওই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত শরীফ হাজরাই গ্রামের তজ্জমুল আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত শরীফ মিয়াকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে শরীফ মিয়াকে একমাত্র আসামী করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় তার গ্রেফতারকৃত শরীফের মুদির দোকানে চকলেট কিনতে যায় শিশুটি। দোকানের আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে দোকানের পেছনে ধরে নিযে জোরপুর্বক ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের এক পর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে শরীফ তাকে এ ঘটনাটি কাউকে না বলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে গিয়ে কান্নকাটি করতে করতে পরিবারের সবাইকে এ ঘটনাটি জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় শরীফ। পরে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সার্ভিস (ওসিস)-তে পাঠায়। বর্তমানে সে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়াইনঘাট থানার ওসি পরিমল দেব। তিনি জানান, কন্যাশিশুটি সোমবার সকালে চকলেট কিনতে শরীফ মিয়ার মুদির দোকানে যায়। এসময় শরীফ মিয়া তাকে জোরপূর্বক দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটি ওসিসতে চিকিৎসাধীন ও ধর্ষণের ঘটনায় শরীফ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।