দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। তার নাম মারুফ আহমদ। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দক্ষিণ বলদী গ্রামের মো: মাসুক মিয়ার পুত্র। গতকাল দুপুর একটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মারুফ আহমদকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারুফ আহমদ দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবং দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কলেজ গেইটে অবস্থানকালে বেলা একটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর স্টিলের পাইপ ও হকিস্টিক নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আহত ছাত্রদল নেতা মারুফ আহমদ জানান, পূর্ব শত্রুতামি ও রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তার উপর এ হামলা চালিয়েছে।
তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীসহ ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি করেছে। এ জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ বিষয়ে কথা বলতে দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. সামছুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলে তিনি ধরেননি।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। তারা দাবী করেন, কয়েক দিন ধরে ছাত্রদলের বহিরাগত নেতারা কলেজে মহড়া দিচ্ছিল। আজও কলেজের কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ছাত্রদলের নেতাদের পরীক্ষা শেষে তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নিয়ে কটূক্তি করেন। এসব শুনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। একপর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, আহত ছাত্রদল নেতা মারুফ আহমদকে দেখতে বিকেলে হাসপাতালে যান জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে তারা এখনও পরিস্কার কিছু বলতে পারছেন না। কেউ অভিযোগও নিয়ে আসেনি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।