যুগভেরী ডেস্ক
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সিলেটে বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী মিছিল সহযোগে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। তবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দিন ব্যাপী চলা এই সমাবেশ পরিসমাপ্ত হয়।
দিনব্যাপি চলা এই সমাবেশে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতা বক্তব্য রাখলেও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং সিলেট এক আসনে গত নির্বাচনের বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সমাবেশ স্থলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেক কর্মী সিসিক মেয়র আরিফের বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকলেও তাদের আশা পুর্ন হয়নি। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় মুক্তাদিরের অনুসারিরাও ছিলেন ক্ষুব্ধ।
সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন সমাবেশে।
সমাবেশ শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় সিলেটের মোনাজাত করা হয়। নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠের সমাবেশে মঙ্গলবার বিকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন নয়াসড়ক মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সাঈদ।
মোনাজাতের সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী কান্নায় ভেঙে পড়েন। একজনের কান্নার আবেগ ছুঁয়ে যায় অন্যজনকেও। এভাবে আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয় সমাবেশস্থলে। সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান, মামলা প্রত্যাহার ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি জানানো হয়।