• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মন্ত্রীর ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ৩০, ২০২১
মন্ত্রীর ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জৈন্তাপুর
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মূল লড়াই হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তিন জন বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর নিউনিয়ন, ৩নং চারিকাটা ইউনিয়ন, ৪নং দরবস্ত ইউনিয়ন, ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন, ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম (আনারস) ৫ হাজার ৪শত ৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন (ঘোড়া) ৩ হাজার ৭শত ৪১ ভোট ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) পরাজিত হন।
এই ইউনিয়নেই বাড়ি স্থানীয় সাংসদ ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের। তার ইউনিয়নেই হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
এছাড়া ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান করিম (দুটি পাতা) ৪ হাজার ৫শত ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী (অটোরিক্সা) ২হাজার ২শত ১৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
৪নং দরবস্ত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাহারুল আলম বাহার (আনারস) ১০ হাজার ১শত ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (নৌকা) ৭হাজার ১শত ৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
৫নং ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিক আহমদ (নৌকা) ৭ হাজার ৬শত ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশীদ (ঘোড়া) ৪হাজার ৯শত ৬৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
৬নং ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) ২হাজার ৭শত ৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া (চশমা) ২হাজার ৬শত ৬৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। পুরো উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যানপদে অংশ নেন। আর সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৫৫ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ২১৬ জন বৈধ প্রার্থী ছিলেন।
তবে, সংরক্ষিত নারী মেম্বার ও সাধারণ মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে জয়-পরাজয়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন