• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ওমিক্রনে বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান !

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩, ২০২১
ওমিক্রনে বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান !

যুগভেরী ডেস্ক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে। তবে আমাদের এ জাতীয় কোনো পরিকল্পনা এখনও নেই। আমরা চাই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকুক।
‘আমরা আশা করছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা লাগবে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা বিজ্ঞানের বাইরে গিয়ে তো কিছু করতে পারব না। সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা। তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’
চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের যে পদ্ধতি তাতে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে না। তবুও এর গুজব ছড়ানো এবং ফাঁসের কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থাকলেও পরীক্ষায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানিয়েছেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘২৩ তারিখেও আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা হবে। ওই দিন ইউপি নির্বাচনেরও তারিখ ছিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। তারা নির্বাচন পিছিয়েছে। যার কারণে ২৩ তারিখে পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলো নিয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা আগামী বছরের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝি নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’
শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের টিকা দেয়া হয়নি কিংবা টিকা প্রথম ডোজ দিয়েছে, তাদের পরীক্ষার পরপরই খুব দ্রুত টিকা দেয়া হবে।’
এইচএসসির পরীক্ষার ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ আরও অনেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন