• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

এনজিও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০২১
এনজিও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

এনজিও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কানাইঘাটের উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালিক চৌধুরীর ছেলে আব্দুল আউয়াল চৌধুরী শিপারের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাতু গ্রামের খসরুল ইসলাম সামসুল এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে খসরুল ইসলাম সামসুল বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের রংমহল টাওয়ারস্থ আমার দোকানে ক্রেতা সেজে আসেন আব্দুল আউয়াল চৌধুরী শিপার। বর্তমানে নগরীর মেজরটিল মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা শিপার ওই সময় মালামাল কেনার ভান করে আমার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি নিজেকে ‘ডিসেবল রিহ্যাবিলিটেশন এনডেভর এন্ড মুভমেন্ট’- ড্রীম নামের একটি এনজিও সংস্থার এমডি হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে একদিন শিপার আমাকে রাজধানীর মিরপুরে একটি অফিসে নিয়ে যান এবং ঢাকার শহীদবাগ এলাকার বাসিন্দা লুৎফুল হায়দার চৌধুরীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় লুৎফুল হায়দার চৌধুরীও আমাকে তাদের এনজিওতে বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করেন। তাদের কথা-বার্তায় বিশ্বাস করে পরে ওই এনজিওতে বিনিয়োগের জন্য শিপারের হাতে কয়েকদফায় ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা দেই।

খসরুল ইসলাম সামসুল বলেন, টাকা নেওয়ার পরই শিপারের আচরণ বদলে যায়। যে শিপার প্রায় প্রতিদিন আমার দোকানে আসতেন, ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কথা বলতেন; সেই শিপার টাকার নেওয়ার পর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন না। আর তখনই আমি বুঝতে পারি শিপার ও তার সহযোগীর প্রতারণার শিকার হয়েছি।
খসরুল ইসলাম বলেন, একপর্যায়ে জানতে পারি শিপার ও তার সহযোগী একটি প্রতারকচক্রের সদস্য। তারা এনজিওর নামে আরো অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছের। সবাইকে তারা শত কোটি টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে সিলেটের অনেকে নিঃস্ব হয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পদ দেওয়ার কথা বলেও বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় শিপার চক্র।

খসরুল ইসলাম বলেন, সিলেটের শিপার ঢাকার প্রতারক লুৎফুল হায়দার চৌধুরীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। আমি প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারার পর লৎফুল হায়দার চৌধুরীকে ফোন দিলে তিনি আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। সর্বশেষ তিনি আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন। পরে বার বার শিপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হই। অনেক চেষ্টার পর শিপারকে পেয়ে টাকা চাইলে তিনি আমাকে এনজিওর নামে দুটি চেক ও তার নামের একাউন্টের একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে টাকা তোলার অনুমতি পাইনি।

খায়রুল ইসলাম বলেন, শিপারের সঙ্গে পরে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। তাই বাধ্য হয়ে ১৪ ডিসেম্বর সিলেটের আদালতে শিপার ও লুৎফুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করি। পরে আদালতের নির্দেশে ১৬ ডিসেম্বর সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে।

খায়রুল ইসলাম বলেন, শিপার ও লুৎফুলের নেতৃত্বাধীন প্রতারক চক্রের কাছ থেকে আমার টাকা ফেরৎ চাই। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। প্রেস- বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি শেয়ার করুন