• ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘আমি যে কোনো সময় গ্রেফতার হয়ে যেতে পারি’

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জানুয়ারি ৮, ২০২২
‘আমি যে কোনো সময় গ্রেফতার হয়ে যেতে পারি’

শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এয়ারপোর্ট থানার মংলীপাড় গ্রামের বাসিন্দা ও কবির খান এজেন্সির প্রাক্তন অফিস পিয়ন মো. হাবিবুর রহমান।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শঙ্কা প্রকাশ
ম্যাটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীনস্থ কবির খান এজেন্সির প্রাক্তন অফিস পিয়ন হাবিবুর রহমান ‘যে কোনো সময় নিজে গ্রেফতার হওয়ার’ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের হাবিব জানান, ম্যাটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীনস্থ সিলেটের কবির খান এজেন্সির ম্যানেজার কবির উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের মংলীপাড় গ্রামের বাসিন্দা ও কবির খান এজেন্সির প্রাক্তন অফিস পিয়ন মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি জানান, ২০০৩ সালে ম্যাটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীনস্থ (তৎকালীন আলিকো) নগরীর চৌহাট্টার নাজিম এজেন্সির অফিস পিয়ন পদে চাকরি শুরু করেন। পরে নাজির উদ্দিনের ভাই কবির উদ্দিন খান এজেন্সি ম্যানেজারের দায়িত্ব নিলে অফিস স্থানান্তর করে নগরীর বারুতখানায় নিয়ে আসেন এবং ‘কবির খান এজেন্সি’ হিসেবে ব্রাঞ্চের নাম পরিবর্তন করেন। হাবিব চাকরিতে ঢুকার সময় থেকেই তৎকালীন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন খান ও ২০০৮ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর কবির উদ্দিন খানকে বার বার বলার পরও তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। হাবিবকে কোনো মাসে ৩ হাজার, কোনো মাসে ৫ হাজার এভাবে বেতন প্রদান করা হতো। এমতাবস্থায় ২০১৭ সালে একদিন অফিসের কাগজপত্র গোছানোর সময় হাবিব একটি বেতন ও বোনাসের কাগজ দেখতে পায়, যেখানে তার বেতন-বোনাসের পরিমাণ সর্বসাকুল্যে ৩২ হাজার ৪৭৪ টাকা উল্লেখ রয়েছে। হাবিব এ পরিমাণ টাকা না পেলেও কাগজে তার নকল স্বাক্ষর দেখতে পায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে অফিস থেকে তাকে একমাসে ছুটি দিয়ে দেন কবির উদ্দিন। পরে আর তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি। এই বিষয়ে মেটলাইলাইফের তৎকালীন স্যালস্ ম্যানেজার শাকিল উস সামাদ-এর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিব আরও অভিযোগ করে জানান, এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে গত ৩১ ডিসেম্বর হাবিবের নামে একটি নোটিশ প্রদান করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম দেব। পরে তিনি তাঁর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাবিবের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে হাবিব সম্মত না হলে তাকে মামলার ভয় দেখান এ পুলিশ কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গত ৫ ও ৭ জানুয়ারি পুলিশের পক্ষ থেকে আরও দুটি নোটিশ হাবিবকে প্রদান করা হয়, যেগুলোতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম দেবের কার্যালয়ে হাবিবকে যেতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ অবস্থায় যে কোনো সময় গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাবিব। তাই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন