দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের সালিশী ব্যক্তিত আলহাজ¦ আব্দুল হক মোবাশি^র হত্যাকান্ডের আড়ালে থাকা রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবীতে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও উপ পুলিশ কমিশনার দক্ষিনের কাছে আবারো স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নিহতের পরিবার। ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে নিহত আব্দুল হকের ছোট ভাই সামছুল হক। এ সময় মামলার বাদি মুহিবুল হক’সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইংরেজী তারিখে দক্ষিণ সুরমার সিলাম শেখপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আব্দুল হক মোবাশ্বির’কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই মুহিবুল হক বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নং ২৫৮/২১। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় স্থানীয় চান্দাই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা মোছাঃ পান্না বেগম নামের এক মহিলাকে আটক করে। গ্রেফতারের পর পান্না বেগম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারকের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সে জবানবন্দিতে তার সহযোগীদের বাচাঁনোর চেষ্টা করেছে। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টে শরীরে বেশ কয়েকটি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যা পূর্বপরিকল্পিত ও প্রতিহিংসামূলক হত্যাকান্ড বলে পরিবারের ধারণা। তাছাড়া পান্নার বক্তব্যের অসামঞ্জস্য এবং অন্যান্য কারণ জনমনে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হত্যাকান্ডের প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ নেপথ্যে থাকা কিলার চক্রের সন্ধান না পাওয়ায় সামছুল হক ও তার পরিবারের মধ্যে যেমন করে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি নির্বিঘেœ ভবিষ্যৎ চলাফেরার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে আতংক। তাই হত্যার আসল রহস্য বের করতে আসামী পান্না বেগমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার ভাই পারভেজ ও কথিত প্রেমিক ফরহাদ, মা-বাবা, খালা-খালু ও নানীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবী জানিয়েছেন তিনি। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী মুহিবুল হক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি