
সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ের পা ভেঙে দিশেহারা ছিলেন নবীগঞ্জের উপজেলার ফুটারমাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ মাষ্টার। গত ২৫ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভাঙে যায় আব্দুল হামিদের ৯ বছরের মেয়ে শাপলা বেগমের। চিকিৎসক জানিয়েছেন, পা ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গেছে। এতেই চিন্তার ভাঝ পরে হামিদের কপালে।
হামিদ যখন টাকার জন্য চিকিৎসা করাহে পারছিলেন না তখন তার পাশে দাঁড়ায় এমএ গফুর চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্ট নামের একটি সেবামূলক সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি সাংবাদিক ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী নয়নের তত্ত্বাবধানে সংগঠনের পক্ষ থেকে শাপলার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়।
শুক্রবার রাতে আব্দুল হামিদের কাছে টাকা তুলে দেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদক মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনুসহ কয়েকজন।
চিকিৎসার টাকা পেয়ে শাপলার বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এমনিতেই চলে না পরিবার তার ওপর মেয়ের এক্সিডেন্ট। যখন এক্সিডেন্ট হয় তখন থেকে মাথায় কিছু কাজ করছিল না। ডাক্তার জানিয়েছিলেন তার পায়ের দুই হাড় ভেঙে গেছে। ভালো চিকিৎসা করাতে হবে। দুশ্চচিন্তায় ২৩ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত ভালো ভাবে খাইনি। হঠাৎ আজ ৩/৪ জন যুবক আমার বাড়িতে টাকা নিয়ে হাজির হয়েছেন। এখন শরির এবং মন দুটাই কিছু হালকা লাগছে। মেয়েটাকে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারবো।
এমএ গপুর কল্যাণ ট্রাস্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি সাংবাদিক ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী নয়ন বলেন, আমাদের সংগঠন আর্তমানবতার সেবার কল্যাণে কাজ করে। আমি যখন শুনেছি মেয়েটি টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না। তখন তছনু চাচার মাধ্যমে তার বাড়িতে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। আমাদের সংগঠন এর আগেও এমন কাজ করেছে। ভবিষ্যতেও এমন মানবিক কাজে সব সময় এগিয়ে থাকবে।