• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ : ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা

Daily Jugabheri
প্রকাশিত এপ্রিল ৩, ২০২২
বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ : ৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন বিয়ানীবাজার থানার নিদনপুর গ্রামের শামসুর রহমানের পুত্র দোলোয়ার হোসেন দিনার, গোলাপগঞ্জ থানার ঘাগুয়া গ্রামের মোঃ মঈন উদ্দিনের পুত্র মোঃ সুলতান আহমদ, একই থানার আব্দুল কাদিরের পুত্র সেলিম আহমদ, শেওলা গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র জুবায়ের আহমদ, দুবাগ গ্রামের মৃত বাহার মিয়ার পুত্র রাসেল আহমদ, হাজী আব্দুস শহীদের পুত্র রিয়াজুল ইসলাম, কাকরদি গ্রামের মৃত পঙ্খী মিয়ার পুত্র জাবের আহমদ, দেওকলস গ্রামের জামাল হাসানের পুত্র আকিজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগের কর্মীসভা ও ছাত্রদলের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় আতংক দেখা দেয়। তখন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের অফিসে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ীর লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কলেজের সামনে রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে পুলিশ টিয়ারসেল ও ফাকা বুলেট নিক্ষেপ করলে উশঙ্খল নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিকেলে এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬, তারিখ: ০২/০৪/২০২২ ইং।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার এসআই কে এম নজরুল ইসলাম জানান, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সভার উপর ছাত্রলীগ তাদের ক্ষমতার দাপট চালিয়ে ছাত্রদলের উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা সাজায়। তারা এই গণতান্ত্রিক দেশে এমন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানান।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন