• ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

লন্ডনে ছেলের ‘সরকার বিরোধী’ ফেসবুক পোস্ট, পিতার দোকান লুটপাট অগ্নিসংযোগ করলো ছাত্রলীগ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত এপ্রিল ৬, ২০২২
লন্ডনে ছেলের ‘সরকার বিরোধী’ ফেসবুক পোস্ট, পিতার দোকান লুটপাট অগ্নিসংযোগ করলো ছাত্রলীগ

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী খায়রুল আমিনের ফেসবুক পোস্টের জের ধরে তার পিতার ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল নেতা খায়রুল আমিনের পিতা মো: রাশিদ মিয়া। জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আমিন অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে গমন করেন। তবে সেখানে গিয়েই ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ছাত্রদলের পক্ষে ফেসবুকের টাইমলাইনে বিভিন্ন পোস্ট দিতে থাকেন। এছাড়া তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সমালোচনামূলক পোস্ট দেন। এসব পোস্টের জের ধরে তার খোঁজে গোয়াইনঘাট বাজারস্থ তার পিতা মো: রাশিদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাশিদ এন্টারপ্রাইজে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট তান্ডব চালায় উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মো: রাশিদ মিয়া জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রেজওয়ান রাজিবের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০টি মোটরসাইকেলে করে উপজেলা ছাত্রলীগের ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। আমাকে মারধর করে। আমার ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লূটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার ছেলে খায়রুলকে প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যার হুমকি প্রদান করে। মো: রাশিদ মিয়া আরো জানান, এর আগে ২০১৯ সালেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছিলেন। তবে এবারে ভাংচুর লূটপাটের পাশাপাশি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। পুলিশে রিপোর্ট করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গোয়াইনঘাট থানায় সাধারণ ডায়রী নথিভূক্ত করতে গেলে থানার ওসি উলটো তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে জানান তিনি। ছেলে কেন ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দিয়েছে এমনটি জানতে চেয়ে ছেলেকে না পেলে মো: রাশিদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বলতে গোয়াইনঘাট থানার ওসির মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন