যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটে এনজিও কর্মকর্তা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দিনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার বিরিকুল্লা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (২০), সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের লিয়াকতগঞ্জের মো: মোস্তাফা মিয়ার ছেলে জালাল আহমদ (২০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাটিয়া গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে সোলেমান মিয়া (২১)।
জানা গেছে, গত বুধবার রাত নয়টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে রেল স্টেশনে যাওয়ার পথে আনোয়ার হোসেনকে (৪০) ছুরিকাঘাত করে পালিয়য়ে যায় ৪ ছিনতাইকারী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সীমান্তিক নামের একটি এনজিও সংস্থার ঢাকা শাখার কর্মকর্তা। সিলেটে তিনি প্রশিক্ষণের কাজে এসেছিলেন। আনোয়ার ভোলা সদরের শ্যামপুর গ্রামের লতিফ শিকদারের ছেলে।
এ ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই মো. বাবুল শিকদার বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই মাঠে নামে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) সোহেল রেজা, দক্ষিণ সুরমা থানার এসি মাইন উদ্দিন, ওসি কামরুল হাসান তালুকদার ও ওসি (তদন্ত) সুমন চৌধুরীসহ পুলিশ সদস্যরা আলাদা আলাদা টিম করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ ছিনতাইকারীর মধ্যে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মূল হোতা বিপ্লবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালতে বিপ্লব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিপ্লব বর্তমানে সিলেট নগরীর মোমিনখলা এলাকায় বসবাসরত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) সোহেল রেজা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ‘পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় প্রধান আসামিসহ জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বিপ্লব নামে এক যুবক ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারেবক্তমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা শিকার করেছে। অন্য আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’