• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে অবৈধভাবে চলছে ৩৬টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার

Daily Jugabheri
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
সিলেটে অবৈধভাবে চলছে ৩৬টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার

যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটে অবৈধভাবে চলছে ৩৬টি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক। এর মধ্যে নগরীতে ১০টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২৬টি। লাইসেন্স ছাড়াই এগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সিলেট নগরীতে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স না থাকায় একটি ক্লিনিক ও ৫টি ডায়গনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার অভিযান বন্ধ ছিলো, তবে বৃহস্পতিবার আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ৩৬টি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের নানা ত্রুটি থাকায় তাদের লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। এর মধ্যে মহানগরীতে ১০টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২৬টি। লাইসেন্স ছাড়াই এগুলো পরিচালিত হচ্ছে। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এই নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে সিলেটে ফের অভিযান শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রথম দিনের অভিযানে মহানগরীর নবাব রোডস্থ নিরাময় পলি ক্লিনিক এবং রিকাবীবাজারস্থ স্টেডিয়াম মার্কেটের পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘােষণা করা হয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- আল আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ডি নােভা, অ্যাপােলাে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পারফেক্ট ডিজিটাল ল্যাব।

অভিযানকালে দেখা যায়, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে। এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষার কক্ষের পরিবেশ খুবই নিম্নমানের। কোনাে কোনাে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়ােজনীয় সরঞ্জাম নেই। এছাড়া মূল্য তালিকা থেকে বেশিমূল্য গ্রহণ করা হচ্ছে। অদক্ষ মেডিকেল টেকনিশিয়ান দিয়ে চলছে সেবা।

এদিকে, মঙ্গলবার অভিযান শুরু হলে দি মেডি হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহজালাল প্যাথলজি সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. মােহান্মদ নূরে আলম শামীম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ শাহরিয়ার প্রমুখ।

নিরাময় পলি ক্লিনিক সম্পর্কে ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, এই ক্লিনিকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। ক্লিনিকে যে অনুপাতে চিকিৎসক, নার্স বা রােগীর জন্য যে পরিবেশ থাকা উচিত তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। একজন সিনিয়র চিকিৎসক অপারেশন করলে তার সঙ্গে মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক থাকা প্রয়ােজন। কিন্তু তারা সেই নিয়ম মানেননি। ফলে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যত্র প্রেরণ করে এ ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে যদি তাদের ত্রুটিগুলাে সমাধান করতে পারলে আবেদন করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে টিম পরিদর্শন করে তাদের লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ জানাবে।

এদিকে, বুধবার (৩১ আগস্ট) সিলেটে কোনো অভিযান হয়নি। বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।

সংবাদটি শেয়ার করুন