যুগভেরী ডেস্ক ::: ছবি দেখে পুরাদস্তুর শীতকাল মনে হলেও বাংলা পঞ্জিকায় আজ ২৯ আশ্বিন। উত্তরের হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা আর ধানের পাতায় জমে থাকা শিশির জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই দেখা মেলে কুয়াশাচ্ছন্ন দিনাজপুরের। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক যানবাহনকে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে অঞ্চলটিতে।
কুয়াশা ঢাকা ভোরে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভোরে শরীর চর্চা করতে বের হন। তারা জানান, আশ্বিন মাস শেষ হচ্ছে তবে শীত হয়ত দেরিতে আসবে। এখনই যে কুয়াশা, এবার শীত বেশি হবে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। কুয়াশা পড়লেও শীত তেমনটা নেই।
বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার যে কুয়াশা পড়েছে, তেমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি। বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। আজ ভোর থেকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। শীত আসতে খুব বেশি দেরী হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
যানবাহন চালকরা জানালেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চলাচল করতে অসুবিধা হয়েছে। ভোর থেকে কুয়াশা পড়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। সাধারণত আশ্বিন মাসে কুয়াশা পড়ে। কিন্তু আজ বেশি কুয়াশা দেখা যাচ্ছে।
আশ্বিনের শেষে কুয়াশার আর্বিভাব স্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রর কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে তাই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এটি স্বাভাবিক। দিনাজপুরের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করছে।
শীতকাল শুরু হতে আরও বাকি মাসখানেক। এরপর থেকে শৈত্যপ্রবাহ, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ পড়তে শুরু হবে। শীত জেঁকে বসতে বসতে ডিসেম্বর গড়াবে।
২০২১ সালে শীতের শুরুতে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নেমে এলেই মৃদু শৈতপ্রবাহ ধরা হয়।