যুগভেরী ডেস্ক ::: কাতার বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ল মরক্কো। প্রথমবারের মতো আফ্রিকার দেশটি পৌঁছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
মঙ্গলবার আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচটির নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য স্কোরলাইনে শেষ হয়। এরপর পর টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জিতেছে মরক্কো। স্পেনের কেউ টাইব্রেকারেও গোল করতে পারেনি।
স্পেন ১০১৮টা পাস খেলেছে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে। কিন্তু গোল করতে পারেনি একটাও। মরক্কোও প্রায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে গোটাতিনেক।
মরক্কোর জয়ের নায়ক গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। তিনি স্পেনের পাবলো সারাবিয়ার শট গোলপোস্টে লাগার পর ইয়াসিন বোনো করলেন দুটি সেভ। এরমাধ্যমে স্পেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল মরক্কো।
এর আগে একবারই বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেছিল মরক্কো। ১৯৮৬ আসরে শেষ ষোলোয় জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল উত্তর আফ্রিকার দেশটি।
স্পেন যেখানে হাজারের বেশি সফল পাস খেলেছিল সেখানে মরক্কো খেলেছে মাত্র ৩০৪টি পাস।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে বলেছিলেন, গত ইউরোর সেমিফাইনালে হারের পর টাইব্রেকারের জন্য তারা এক হাজার করে শট মারার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। কারণ মূল আসরে এসে পেনাল্টি অনুশীলন পর্যাপ্ত হয় না।
স্পেনের ‘তিকিতাকা’ দর্শনের জন্য মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই ‘সহজ কৌশল’ নিয়েছিলেন। তারা বল পায়ে রাখলে রাখুক, কিন্তু বক্সের মুখে আসার আগে ওই বড় কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো না- এই ছিল কৌশল। স্পেনও নিজেদের অর্ধে এবং মরক্কোর ফাস্ট থার্ডে বলের পর বল চালাচালি করেছে। সাফল্য বলতে তাদের সাতটি আক্রমণ তুলতে পারা।
হাজার পেনাল্টি অনুশীলনের কথা জানালেও টাইব্রেকারে মারা চারটি শটকে একটিও গোলে রূপান্তর করতে পারেনি স্পেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে চারটি পেনাল্টি মিস করার রেকর্ড গড়েছে। এমনকি বিশ্ব আসরে পাঁচবার টাইব্রেকার ভাগ্যের সামনে পড়ে তিনবার হেরেছে তারা।
অন্যদিকে মরক্কো চারটি শট নিয়ে তিন গোল করে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে।
পর্তুগাল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের মুখেমুখি হবে।