• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ফুলেল শ্রদ্ধায় ভাষা শহিদদের স্মরণ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
সিলেটে ফুলেল শ্রদ্ধায় ভাষা শহিদদের স্মরণ

 যুগভেরী ডেস্ক ::: রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, ফুলেল শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করেছে সিলেট। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার, সেসব শহিদের স্মরণে একুশের প্রথম প্রহরে জেগে উঠেছে শহিদ মিনার।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহিদদের স্মরণ করছে সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃতজ্ঞ চিত্তে ভাষা শহিদদের স্মরণ করছে। শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

ভাষা শহিদদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা বাংলা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।

বাঙালির মননে অনন্য মহিমায় ভাস্বর চিরস্মরণীয় একুশে ফেব্রুয়ারি। ইতিহাসের পাতায় রক্ত পলাশ হয়ে ফোটা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহর রক্তে রাঙানো অমর ২১ ফেব্রুয়ারি আজ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহিদ দিবস প্রতিবারের মতো এবারও সিলেটে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

একুশের প্রথম প্রহরে সর্বপ্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড। পরে একে একে সিলেট সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়, সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি), সিলেট জেলা প্রশাসন, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন, সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন ও আরআরএফের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহিদ মিনার। এর মাধ্যমে স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

এদিকে, সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিশেষ ইউনিট ‘কুইক রেন্সপন্স টিম (সিআরটি)’-কেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে শহিদ মিনার এলাকায় ও সড়কে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন