যুগভেরী ডেস্ক ::: রোববার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউস এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এসময় ওই এলাকায় গড়ে ওঠা গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়। তবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান শেষ করে যাওয়ার কয়েকঘন্টা পরই আবার বেদখল হয়ে যায় এই এলাকা। বিকেলে সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে ও ফুচকার দোকান বসতে দেখা যায়।
জানা যায়, সিলেট সার্কিট হাউসের সামনে অঘোষিত স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন পরিবন শ্রমিকরা। এই এলাকায় সবসময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ট্রাক, পিকআপ ও ভ্যান। এছাড়া বিকেলে বসানো হয় চটপটি ও ফুচকার দোকান। এই অবৈধ স্ট্যান্ড আর ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো উচ্ছেদে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম ও নাহিদ নিয়াজ শিশিরের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় সার্কিট হাউজের সামন, কিনব্রিজ ও পার্শ্ববর্তী পাইলট স্কুলের সামনের রাস্তার সকল ট্রাক, বাস পিকআপ ভ্যান ও ফুচকা-চটপটির দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে আর অবৈধ পার্কিং ও অস্থায়ী দোকান না বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয় জেলা প্রশাসন।
অভিযানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) টিম সহাযোগিতা করে।
এদিকে, অভিযান পরিচালনার পর দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ফের এসব জায়গায় ট্রাক, পিকআপ ও ভ্যান পার্কিং করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। এছাড়া সন্ধ্যা হতেই ব্রিজের নিচে বসে পড়ে চটপটি ও ফুচকার দোকান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম রবিবার রাতে বলেন- আজ (রবিবার) আমরা প্রচারণা চালিয়েছি আর স্বাভাবিকভাবে বলে গাড়িগুলো সরিয়ে দিয়েছি। সিলেট জেলা বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে আগামীকাল (সোমবার) থেকে আমরা কঠোর অ্যাকশনে যাবো।
তিনি বলেন- শুধু এই এলাকাই নয়, পুরো শহর নিয়ে আমাদের এমন পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে মহানগর পুলিশ ও সিটি করপোরেশনে সহযোগিতা করবে।