যুগভেরী ডেস্ক ::: হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পরে পাকবাহিনীর সৈনিকের ব্যবহৃত ধাতবের তৈরী একটি টুপি উদ্ধার করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুনের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধ গণহত্যা যাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত জরিপ কাজে হবিগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন একাত্তরের গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে এটি উদ্ধার করেন।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রায় এক বছর যাবত হবিগঞ্জের প্রতিটি উপজেলার আনাচেকানাচে ঘুরে পাক হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করছেন। এক পর্যায়ে ১ এপ্রিল শনিবার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: ফুল মিয়ার নিকট থেকে তথ্য পেয়ে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মাধবপুর প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সুরমা চা বাগানের ১০ নম্বর ছনটিলা এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নন্দলাল মুন্ডার নিকট থেকে পাক আর্মির এই ধাতব টুপিটি উদ্ধার করেন। এটি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য নন্দলাল মুন্ডা আল মামুনের নিকট হস্তান্তর করেছেন।
এব্যাপারে নন্দলাল মুন্ডা জানান, তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন। ৭১ সালে চুনারুঘাটের সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় তিনিসহ মুক্তিবাহিনীর প্রায় ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুটি ট্রাকে হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করে অস্ত্র গুলাবারুদ মুক্তিবাহিনী হস্তগত করে। পরে অস্ত্র গুলাবারুদ জমা দিয়ে দিলেও এই টুপিটি স্মৃতি হিসেবে রেখে দেন নন্দলাল মুন্ডা।
নন্দলাল বলেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, পাক সেনাকে খতম করে প্রমাণ রেখে দিয়েছি তবুও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। এই টুপিটি যাদুঘরে দিতে পেরে আমার ভালো লাগছে। টুপিটি হস্তান্তরের সময় নন্দলাল মুন্ডার ছেলে বধুরা মুন্ডাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।