• ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ সুপারিশ

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২৩
ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ সুপারিশ

যুগভেরী ডেস্ক ::: এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় থাকা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিসহ পাঁচটি সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সৌদি আরবের রিয়াদে অষ্টম বিশেষ ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া রেকর্ডকৃত ভাষণে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান এসব সুপারিশ করেন বলে রোববার জানিয়েছে বাসস।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এ শীর্ষ সম্মেলন চলছে।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিচালিত একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা জ্বলছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো বিরতি ছাড়াই নির্দয় তাণ্ডব চালাচ্ছে, হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।’

প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় সুপারিশে বলেন, বিধ্বস্ত গাজার আটকে পড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিরামহীন ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে মনে হচ্ছে আমরা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি।

‘অন্তত একটি নিরাপদ মানবিক করিডোরের জন্য আমাদের দ্রুত কাজ করা দরকার।’

তৃতীয় সুপারিশে শেখ হাসিনা বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত যাতে গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে, তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।’

চতুর্থ সুপারিশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপে সম্মত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে যা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে।’

পঞ্চম সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ভাই ও বোন, যারা গত ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন