যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটে ৮ বছর আগের চাঞ্চল্যকর রাজু ও তাপু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শিপন আহমদ (২৬)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার কায়েস্থরাইল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শিপন আহমদ সিলেট নগরীর সুবিদ বাজার এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় বসবাস করছেন। শিপন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য দীর্ঘ দিন যাবৎ কৌশলে সিলেট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-৯ জানায়, ভিকটিম রাসেল আহমদ (২৪), মো. রাজু আহমদ (১৯) ও এস এম তাপু মিয়া (৩৫) সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরীর বনফুল কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে বিসিক শিল্প নগরীর ফুলকলি কার্টুন ফ্যাক্টরির পাশে অজ্ঞাতনামা ০৮/১০ জন আসামি ভিকটিম রাসেল আহমদকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। রাসেলকে বাঁচাতে অপর দুই ভিকটিম রাজু ও তাপু মিয়া এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে, ভিকটিম রাজুর ভাই ও পাশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম রাজু ও তাপু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় নিহত রাজুর বড় ভাই বাদী হয়ে এসএমপি-সিলেট এর শাহপরাণ (রহ.) থানায় অজ্ঞাতনামা ০৮/১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত গত বছরের ১৫ অক্টোবর মো. শিপন আহমদসহ ০৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এদিকে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৯।