• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

২১ দিনে ওসমানীতে জরুরী অবতরণ করল ১৬ ফ্লাইট

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
২১ দিনে ওসমানীতে জরুরী অবতরণ করল ১৬ ফ্লাইট

যুগভেরী ডেস্ক ::: ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন সপ্তাহের মধ্যে ১৬টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নেমেছে। ২ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে এসব ফ্লাইট সিলেটে নামে। ২ জানুয়ারি সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর পার্কিংয়ের সময় ইউএস-বাংলার দুটি উড়োজাহাজের পাখার সংঘর্ষ হয়। এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। তবে ওই দুটি বাদে বাকি ১৪টি উড়োজাহাজ আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর সিলেট ছেড়ে গন্তব্যে চলে যায়। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়েতে ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) ওপর নির্ধারণ করে ফ্লাইটগুলো ওঠানামা করে। ঘন কুয়াশার কারণে রানওয়ে দেখতে না পেয়ে বিমানচালক সমস্যার সম্মুখীন হন। সাধারণত বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। এর নিচে নামলে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, ২ জানুয়ারি ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল ৫টি ফ্লাইট। এ সময় দুটি বিমান পার্কিংয়ের সময় একটির সঙ্গে অন্যটির পাখার ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। পরে ওই দুটি ফ্লাইট বাদে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর তিনটি ফ্লাইট গন্তব্যে ফিরে যায়। ৪ জানুয়ারিও কুয়াশার কারণে সিলেটে পাঁচটি উড়োজাহাজ অবতরণ করেছিল। ওই উড়োজাহাজগুলো দুবাই, দোহা, শারজা, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে এসেছিল। ৬ জানুয়ারি সকালে দুবাই থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করে। ১৭ জানুয়ারি ঘন কুয়াশার কারণে বাংলাদেশ বিমানের ওমানের মাসকাট থেকে আসা একটি ও চীনের গুয়াংজু থেকে আসা আরেকটি ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করে। গত ২০ জানুয়ারি দোহা ও চীনের গুয়াংজু থেকে আসা দুটি ফ্লাইট নামে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারণে সিলেটে অবতরণ করে। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট বিমানবন্দর ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে উড়ে যায় বিমানটি। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ওমর তালুকদার বলেন, বুধবার সকাল ছয়টায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০০ মিটার, সকাল সাতটায় সেটি ৬০০ মিটার হয়। দুপুর ১২টায় সেটি বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার কিলোমিটার। গত কয়েক দিনের মধ্যে ২২ জানুয়ারি রাত ৩টা ৫ মিনিটে সিলেটের বিমানবন্দর এলাকায় ভিজিবিলিটি ৫০ মিটারে নেমে এসেছিল।বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, চলতি মাসে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কোনো ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারণে সিলেটে অবতরণ করতে না পেরে ফিরে যায়নি। তবে ঢাকার উদ্দেশে আসা আন্তর্জাতিক কয়েকটি ফ্লাইট সেখানে অবতরণ করতে না পেরে সিলেটে অবতরণ করেছে। সাধারণত ঢাকা বিমানবন্দরে ৬০০ মিটার এবং সিলেট বিমানবন্দরে ৮০০ মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে বিমান ওঠানামা করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন