• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বড়লেখায় প্রতিবেশীর জমিতে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা: কারণ জানিয়ে স্বামীর স্বীকারোক্তি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
বড়লেখায় প্রতিবেশীর জমিতে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা: কারণ জানিয়ে স্বামীর স্বীকারোক্তি

যুগভেরী ডেস্ক ::: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আছমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী আয়নুল ইসলাম (৫৫)।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আয়নুল। জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচারক আয়নুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  পরে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়।বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, গৃহবধূ আছমাকে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্বামী আয়নুল ইসলাম। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আয়নুল বলেছেন, বিভিন্ন কারণে তিনি তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। ঘটনার দিন কোনো কারণে স্ত্রীর প্রতি তার সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি বাড়ির পাশে স্ত্রীকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ডিমাই ষাটমারপার গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের মেয়ে আছমা বেগমের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে একই এলাকার পাখি মিয়ার ছেলে আয়নুল ইসলামের বিয়ে হয়। পরিবারিক জীবনে তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। আর আছমা বেগমের প্রথম পক্ষের এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় ১২টার দিকে আছমা বেগমের প্রতিবেশী মুমিন আহমদ তার ভাই ফখরুল ইসলাম রুবেলকে ডেকে জানান, আছমাকে কে বা কারা ছুরি দিয়ে মেরে জনৈক ইমাম উদ্দিনের জমিতে ফেলে গেছে। খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখেন আছমা জমিতে পড়ে আছেন এবং তার নাড়িভূড়ি বেরিয়ে গেছে। আছমার পাশে একটি রক্তমাখা ছুরি পড়ে আছে। পরে স্বজনরা আছমাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আছমার স্বামী আয়নুলকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এই ঘটনায় নিহত আছমার ভাই ফখরুল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন