সিলেটে সম্প্রতি ১৪ ট্রাক ভারতীয় চিনি উদ্ধারের পর এবার অস্ত্রের মুখে ২৪ লাখ টাকার চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
জেলার বিয়ানীবাজারে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে নিলামে কেনা বিপুল পরিমাণ চিনি গোদামে নিয়ে আসার পথে বিয়ানীবাজার থেকে লুট করে নিয়েছে একদল ছিনতাইকারী।
শনিবার দুপুরে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাই পুলিশ ক্যাম্পের অদূর থেকে অস্ত্রের মুখে চিনি বোঝাই ট্রাক নিয়ে পৌরশহরে চলে আসে ছিনতাইকারী ওই চক্র। বিয়ানীবাজারে আসার পর ট্রাকের অর্ধেক চিনি পৌরশহরের পৃথক দুটি গ্রামে নিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়। চিনির মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছিনতাই হওয়া চিনি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত চক্রটি কারা এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মাঝে।
পুলিশ জানায়, একাধিক দল পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশের সূত্র জানায়।
চিনির মালিক বদরুল ইসলাম বলেন, চারখাই বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত কয়েকদিনে তিনি সরকারের বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪৭৭ বস্তা চিনি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেন। ওই চিনি থেকে ৪০০ বস্তা চিনি তিনি শাহগলী বাজারের জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। শনিবার দুপুরে একটি ট্রাক বোঝাই করে বিক্রিত চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে।
তিনি অভিযোগ করেন, ১৫-১৬ জনের ছিনতাইকারী চক্র একটি প্রাইভেট কার, ৪টি মোটর সাইকেল এবং একটি পিকআপ নিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে। এ সময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ট্রাক চালককে জিম্মী করে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে নিয়ে এসে পৃথক দু’টি গ্রামে চিনি ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। বদরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাই হওয়া চিনির বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। তিনি থানা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
সূত্র জানায়, ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি সাদা রঙের এবং নাম্বারপ্লেট বিহীন। এক ছাত্রলীগ নেতা ওই কারটি ব্যবহার করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীধরা গ্রামের একটি বাড়িতে চিনি উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহজাদা ফয়সল বলেন, চিনি উদ্ধারে শ্রীধরা গ্রামে আমাদের অভিযান চলছে। খাসাড়িপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে।