র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মানবাধিকার সংস্থাটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে র্যাব বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ চিঠি সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সময় র্যাব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এসব ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের দায়মুক্তি ছিল। র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে যতগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
চিঠিতে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য র্যাবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিজিএফআইর বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, র্যাবের তুলনায় ডিজিএফআইর কর্মকাণ্ড আরও বেশি ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং অপ্রকাশ্য। এ সংস্থাটির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে থাকলেও তা প্রকাশ্যে বলার সাহস কেউ পায়নি। বহু মানুষকে গুম করা কিংবা বছরের পর বছর ধরে গোপন বন্দিশালায় আটকের বিষয়টি সবার চোখের সামনে আসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর।
র্যাবের বিলুপ্তি নিয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বিবিসিকে বলেছেন, সার্বিকভাবে র্যাবের ইমেজ এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে সেখান থেকে র্যাবকে টেনে তোলা মুশকিল। র্যাব বর্তমানে যেভাবে কাজ করছে, এভাবে একটা বাহিনী পরিচালনার সুযোগ নেই। র্যাব ইমিডিয়েট বিলুপ্ত করা দরকার। কারণ, তারা সমাজে একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছে।
তবে সেনাবাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, র্যাব বিলুপ্ত না করে সেটির সংস্কার করা জরুরি এবং এই বাহিনীকে যাতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা যায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।
উল্লেখ্য, র্যাব পুলিশের অধীনে একটি বাহিনী হলেও এর কর্মকর্তাদের বড় অংশ আসে বিভিন্ন সামরিক বাহিনী থেকে।