বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায়
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দাপুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া।
জানা যায়, গোয়ালাবাজার থেকে পোষাক ও সাদা পোষাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি দল চেয়ারম্যানকে আটক করে। পরে তাকে ওসমানীনগর থানায় এবং গোলাপগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান (পিপিএম) সিলেটভিউ-কে জানান- ৫ আগস্টের আগে গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় ২৩ আগস্ট থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা সিলেটভিউ-কে বলেন- গ্রেফতারের পর সাহেদ আহমদ মুছাকে আদালতে প্ররেণ করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছার অপসারণের দাবিতে কিছু শিক্ষার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করার দাবিতে শুরু করেন মিছিল। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংখা দেখা দিলে স্থানীয়রা এসে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামন থেকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে আন্দোলনকারী একপক্ষ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টুলপ্লাজায় অবস্থান নেয়। অপরপক্ষ সাদিপুর সেতুর পাশে অবস্থান নিয়ে বিকালে চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছাকে স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।