সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের পিআইসি গঠনের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসককে সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
চিঠিতে শিশির মনির লেখেন, “বিগত সময়ে হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইসি গঠনে কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়নি। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় অনেক অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে ২০২১ সালের ১২ মে দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২০২৩ সালের ১২ মার্চ দৈনিক প্রথম আলো, ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় হাওর রক্ষা বাঁধে অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ জড়িত। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আরো জানা যায় প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দের মাধ্যমে সরকারি টাকা অপচয়, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, হাওরে জমি নেই এমন ব্যক্তিকে পিআইসি প্রদান করা হয়েছে। ৫ ই আগস্টের ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই নীতিমালার বাহিরে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হবো।”
মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে চিঠির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে শিশির মনির বলেন, ‘বিগত সময়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। এবার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। পিআইসি গঠন প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ উনার একটি চিঠি পেয়েছি। যেখানে তিনি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার কথা বলেছেন। আমার সেটিই অনুসরণ করছি।’